ইলিশের রাজধানী খ্যাত চাঁদপুরের মতলব উপজেলার কৃতি সন্তান আলহাজ্ব মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল। উপজেলার দুর্গাপুরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের প্রয়াত অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা হাজী মোঃ মোফাজ্জল হোসেন খান এবং প্রয়াত হামিদা বেগমের পাঁচ পুত্র ও সাত কন্যাদের মধ্যে অষ্টম অবস্থান তার। নিজ গ্রাম নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৯ সালে মাধ্যমিক এবং গাজিপুর কালিয়াকৈর কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর পিতার বদলীর সুবাদে বগুড়া জেলার শাহ সুলতান কলেজ থেকে ১৯৮৫ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন খ্যাতিমান এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলেন ছাত্রজীবন থেকেই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত পারিবারিক শিক্ষার মধ্য দিয়ে বড় হওয়া স্থানীয় আলোকবর্তীকাবাহী যুবক থেকে, রাজনীতির মাঠে ময়দানে দুর আকাশে দূতি ছড়িয়ে উজ্জল নক্ষত্র হয়ে উঠা, নিখিলের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিঃসন্দেহে জানান দেয়, যুব তারুণ্যের সম্ভাবনা ও আগামীর স্বপ্ন স্বম্ভারে তার প্রতিশ্রুতি এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কথা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন থেকে অদ্যাবদি প্রতিটি ধাপে যোগ্যতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে আজ দেশের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল যুব সংগঠন “বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের” কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ অলংকরণ করে রাখা এই যুবনেতার রাজনৈতিক সম্ভাবনা, দেশের অগণিত যুব সমাজের ভাগ্য উন্নয়ন সহ, দেশের অর্থনীতি ও মেধার চর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করে যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে অলীক।

সূদীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের শুরুটি হয়, ১৯৮০ সালে রাজধানীর লালবাগ থানা ছাত্রলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে। অতঃপর ১৯৮৭ সালে যোগদান করেন স্বাধীনতা উত্তর বাঙ্গালী যুবদের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগে। ততকালীন ঢাকা মহানগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের একটি আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে যুবলীগে যাত্রাশুরু করেন তিনি। প্রায় এক দশকের যুব নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতা ১৯৯৪ সালে তাকে এনে দেয় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দ্বায়িত্ব। সফল রাজনৈতিক কর্মী হয়ে উঠার প্রথম সফলতা হিসেবে পেলেন ২০০৩ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব। ক্রমাগত বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র, অতর্কিত হামলা, মামলায় পিষ্ঠ হয়ে বারবার কারাবরণ সহ গুরুতর ভাবে আহত হন আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর সঙ্গে ২১শে আগষ্ঠ গ্রেনেড হামলায়। ত্বত্ত্বাবধায়ক সরকার নামক একটি অসাংবিধানিক সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য ততকলীন জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে জান ও জনের হুমকী সহ আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর মুক্তির দাবীতে রাজপথে নেমে নির্যাতনের স্বীকার হন তৎকালীন পেটোয়া বাহীনির হাতে। অতঃপর আওয়ামীলীগ বিপুল ভোটে গণতান্ত্রীক সরকার গঠন করলে, দ্বায়িত্ব বেড়ে যায় যুব জনতার পক্ষ থেকে। ফলশ্রুতিতে, ২০১২ সালে ষষ্ঠ সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয় তাকে। যুবজনতা শ্রমজীবি ও পেশাজীবিদের আরাধ্য নির্ভরতায় প্রায় এক দশক পর আবারো সফলতার উর্ত্তীন্ন শীখরে পৌছে ২০১৯ সালে ৭ম কংগ্রেস মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল। দেশের সবচেয়ে সম্মানজনক যুব সংগঠনে কেবলমাত্র রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দলীয় প্রধানের প্রতি অগাধ আস্থা নিয়ে যুব নেতৃত্বকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন দেশের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত ও মেধাবী যুব নেতা আলহাজ্ব মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

ব্যক্তিগত জীবনেও সফলতার সিঁড়ি অতিক্রম করতে আপোষ করেননি কোন প্রতিকুলতার সঙ্গে। ১৯৯৭ সালে মমতাজ আহমেদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে, দুই পুত্র সন্তানের জনক এই খ্যতিমান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার বড় ছেলে মাসরুর হোসেন খান নাবিল একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী হবার পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তার ছোট ছেলে মুসারাত হোসেন খান (নাহিদ) একটি স্বনামধন্য উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে মেধার স্বাক্ষর রেখে পড়াশুনা করছেন। স্ত্রী মমতাজ আহমেদ বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলেও মুলত পুরোদস্তর গৃহীনি হয়েই সামলে যাচ্ছেন এই যুব নেতার লালিত সংসার।

পেশাদার জীবনে একজন সামান্য ঠিকাদার হিসেবে আভির্ভূত হলেও, দক্ষতা ও পরিশ্রমের বদৌলতে তিনি আজ দেশের একটি প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকানা সত্ত্বাধারী হিসেবে রয়েছেন। এছাড়াও আবাসন খাতে রয়েছে নাবিল প্রপার্টিজ লিমিটেড নামক সুনামধারী প্রতিষ্ঠান। নাবিল প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ এর পাশাপাশি একাধিক আন্তজেলা পরিবহন ব্যবসায়ও তার রয়েছে সিংহভাগ অংশিদারিত্ব।

সামাজিক ও ধর্মানুরাগী হিসেবে তিনি বহুল প্রতিষ্ঠিত। রাজনৈতিক জীবনের প্রারম্ভ থেকে অদ্যাবদি বহু ধর্মিয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার অংশিদ্বারিত্ব প্রমান করে, সাধারণ মানুষের প্রতি তার কর্তব্য পালতে তিনি এখনো অবিচল। মিরপুর মনিপুর বায়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি , পশ্চিম মনিপুরের বাইতুল আমান জামে মসজিদ ও বাইতুল মা’মুর জামে মসজিদ, মধ্য মনিপুরের দারুল কোরআন এতিমখানা ও মাদ্রাসা, দক্ষিণ মনিপুরের বাইতুল আশরাফ জামে মসজিদ, পূর্ব মনিপুরের বাইতুল রব জামে মসজিদ এবং পশ্চিম কাজিপাড়ার বাইতুল আহসান জামে মসজিদ ও মাদরাসার উপদেষ্টা।

বাংলাদেশের সাধারণ যুব জনতার বিশ্বাস ও ভরসার প্রতিচ্ছবি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালিত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের এই অগ্রাণী পথিকের আসন্ন প্রতিটি রাজনৈতিক সফলতায় তার জন্য রয়েছে অসংখ্য তৃণমূল নেতাকর্মীর প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

লেখকঃ মোঃ মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল
কার্যনির্বাহী সদস্য
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ

 

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার