শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে অর্থাৎ সেই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত অসাধারণ অনেক ভালো শিক্ষকের ছাত্র হতে পেরেছি। কিন্তু যদি সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে বলতে হয় তাহলে একজন শিক্ষকের কথাই আমি বলব। যিনি আমার এই ক্ষুদ্র জীবনের চলার পথে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা ও উৎসাহ জুগিয়েছেন। আমার সেই প্রিয় শিক্ষকের নাম মাইনুল আলাম।

আমাদের মাইনুল আলাম স্যার একজন ড্রিমার। একজন শিক্ষকের মৌলিক কাজই হচ্ছে তাঁর শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখানো। আমাদের সমাজে অনেক শিক্ষক রয়েছেন তারা শুধু ভালো শিক্ষার্থীদের শিক্ষক। শিক্ষকতার মৌলিক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খারাপ শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষক হওয়া। মাইনুল আলাম স্যার একাধারে ভালো ও খারাপ উভয় শিক্ষার্থীর শিক্ষক।

আমাদের স্যারকে আমি প্রথমে অত্যন্ত একজন রাগী মানুষ হিসেবে মনে করলেও স্যার ছিলেন খুবই কোমল হৃদয়ের অধিকারী। এডভান্স রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে তিনি একজন ইতিবাচক শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের অন্যতম আশ্রয়স্থল আমাদের এই প্রিয় শিক্ষক।

আমি খুবই সৌভাগ্যবান। কারণ, আমার শিক্ষা জীবনে রাকিবুল ইসলাম স্যার, রোমান স্যার ও মাইনুল আলাম স্যারের মতো ভালো কিছু শিক্ষক পেয়েছি। তাঁদের সকলের প্রতিই আমি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু কেউ যদি বলে মাত্র একজন শিক্ষককে বাছাই করতে তাহলে সেটি আমার কাছে কঠিন কাজ।

তবে আমার জীবনে যাদের আদর্শ গভীরভাবে মনে ছাপ ফেলেছে তাদের মধ্যে মাইনুল আলাম স্যার একজন। উনি শিক্ষার্থীদের প্রতি সর্বদা আন্তরিক। সবাইকে সাহায্য করতে উৎসাহী।

এডভান্স রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষক হিসেবে উনি আসলেই অতুলনীয়। একই সঙ্গে তিনি একজন সৎ চরিত্রের সহজ-সরল জীবনে বিশ্বাসী মানুষ; যাকে দেখে শিক্ষার্থীরা নীতিবান হতে উৎসাহী হয়।

শিক্ষার্থীদের খুব সহজভাবে বোঝাতে পারার অসাধারণ ক্ষমতা আছে স্যারের। স্যার প্রতিটি বিষয়ে আমাদের এতো উৎসাহ এবং এত সুন্দরভাবে পড়াতেন যে, সকল শিক্ষার্থীই তাঁর ক্লাসে মুগ্ধ থাকতো।

স্যার, আজ আপনাকে একটা কথা বলতে চাই। আপনাকে শুধু আমি না, আমরা সবাই সত্যি খুব ভালোবাসি। সামনা-সামনি হয়তো কখনও কেউ বলতে পারেনি। আমরাও হয়তো কোনোদিন মুখে বলতে পারবো না। আজ এ লেখার মাধ্যমেই জানিয়ে দিলাম আমাদের সে না বলা কথা। আমরা আপনাকে পেয়েছি একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে। এ ধরনের শিক্ষক পাওয়া সত্যিই কপালের ব্যাপার। আপনি এমন একজন মানুষ, যাঁকে সারাজীবন মনে রাখা যায়।

আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। শিক্ষা ও উন্নয়ন অর্থাৎ শিক্ষকদের অবদান সর্বত্র ও অনস্বীকার্য। অনেকেই তাদের প্রিয় শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। শিক্ষকদের শ্রদ্ধা না জানানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা সবাই আপনাকে ভীষণ ভালোবাসি।

বিশ্ব শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা স্যার। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আপনি সবসময় ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন। সে প্রত্যাশাই করি।

বার্তা বাজার/ জহিরুল ইসলাম