কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রেলওয়ে জমিতে মাদ্রাসা নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে। আজ ৪ অক্টোবর বুধবার দুপুর ১টায় পৌর শহরের উত্তরপাড়া এলাকায় জমির মুন্সি বাড়িতে দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিত নিযন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম। আহতদের মধ্যে জমির মুন্সি বাড়ির আইজুল্লাহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। অন্যান্য আহতরা প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।

স্থানীয়রা জানান, ৩ অক্টোবর জমির উদ্দিন মুন্সি বাড়ির পাশে রেলওয়ে জমিতে বীরু মোল্লা সুন্নীয়া মাদ্রাসার ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এসময় রেলওয়ে জায়গা নিজের দাবী করে কাজে বাধা দেন একই বাড়ির অহিদ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার আবারো মাদ্রাসা পক্ষ কাজ করতে গেলে ২য় দফায় বাধা দেন তারা। এসময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারমারি হয়। ঘণ্টা ব্যাপী উভয় পক্ষ দা, বল্লম, লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়রা জানান, এ জমি নিয়ে জমির মুন্সির উদ্দিন বাড়ির শেফাত উল্লাহ গংদের সাথে অহিদ মিয়া গংদের দীর্ঘদিন দ্ব›দ্ব চলে আসছে। একাধিকবার মারামারি হয়েছে।

এ বিষয়ে জমির মালিক দাবী করে অহিদ মিয়ার ছেলে মুক্তার হোসেন বলেন, রেলওয়ে সম্পত্তিটি আমার দাদা নূর হুদা মিয়ার নামে ছিল। পরবর্তীতে এ রেলওয়ে সম্পত্তি আমার চাচা আলম মিয়ার নামে আসে। কিন্তু শুরু থেকে দীর্ঘদিন যাবত জমির মুন্সির বাড়ির লোকজন মাদ্রাসার নামে আমাদের সম্পত্তিগুলো হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। আমার দাদার নামে লিজ নেয়া সম্পত্তি কিন্তু তারা আমাদেরকে না বলে জোর দখল করে মাদ্রাসা মার্কেট, মাদ্রাসা নির্মাণ করছে।

আমরা তাদের বাধা দিলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। এ ঘটনায় আমিসহ আমার সাথে আরো ৫ জন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে বীরু মোল্লা সুন্নিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক শেফাত উল্লাহ জানান, মাদ্রাসার জায়গাটি পূর্বে আমাদের ভাতিজা মোস্তাকসহ আরেকজনের ছিল। পরবর্তীতে মাদ্রাসাকে তারা রেলওয়ে জায়গাটি দিয়ে দেই। আমি সভাপতির দায়িত্বে আসার পর জায়গাটি আমি ও মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদকের নামে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ে আসি। আমি মাদ্রাসার ঘর নির্মাণ করতে গেলে এলাকার কিছু দুস্কৃতিকারী বাধা দেই। তারা আমার মাদ্রাসার সুপারেন্টেন্ডকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

আজ সকালে অহিদ মিয়ার ছেলে মুক্তার ও মোসাব্বিরসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা মাদ্রাসা কাজে বাধা দেন। তা প্রতিহত করতেই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। রেলওয়ে সম্পত্তিতে মাদ্রাসা নির্মাণ নিয়ে দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তা বাজার/জে আই