তিউনিসিয়ায় ভূমধ্যসাগরে ট্রলার দূর্ঘটনায় নিহত ৮ বাংলাদেশির মধ্যে মাদারীপুরের ৫ জনের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

আজ (৬ মে) মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদানের টাকা তুলে দেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোঃ মারুফুর রশিদ খান। এসময় প্রতি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করাসহ দালালদের আইনি সহায়তা করার আশ্বাস দেন তিনি।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারী লিবিয়া থেকে দালালদের মাধ্যমে সাগরপথে ইতালির উদ্দেশ্যে একটি ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকায় রওয়ানা দেয় বেশ কয়েকজন যুবক। এসময় ৮ বাংলাদেশিসহ ৯ জন নৌকার পাটাতনের নিচের অংশে থাকায় তিউনিসিয়া পৌঁছালে নিঃস্বাস বন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়। এর ৭৮ দিন পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়ার পর মাদারীপুরের ৫ যুবকসহ ৮ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে প্রেরণ করে দূতাবাস। গত (২ মে) বৃহস্পতিবার সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহগুলো পৌঁছালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।

নিহত ৫ যুবক হলেন, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের ইউসুফ আলী শেখের ছেলে মামুন শেখ (২২), একই ইউনিয়নের সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী (২২), কদমবাড়ী গ্রামের নয়ন বিশ্বাস (২০), বাজিতপুর ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের সজীব কাজী (১৯) ও কবিরাজপুর ইউনিয়নের কিশোরদিয়া গ্রামের কাওসার খলিফা (২২)। নিহত অন্য তিন বাংলাদেশি পাশ্ববর্তী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের দাদনের ছেলে রিফাত (২৩), ফতেপট্রি গ্রামের রাসেল (২২) ও গয়লাকান্দি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২২)।

নিহতের পরিবার জানান, আমরা অনেক ধার দেনা, বসতবাড়ির জমি বিক্রি করে এখন নিঃস্ব। আমরা সরকারি সহযোগিতা পেয়েছি। আরও সহযোগিতা পেলে আমরা কোন রকম বাঁচতে পারবো।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ৫ টি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। তবে এটা আপনাদের ক্ষতিপূরণ না। আর যা হারিয়েছেন সেই ক্ষতিপূরণ দেয়াও সম্ভব না। এসময় বিদেশে যাওয়ার আগে বৈধ পাসপোর্ট বৈধ ভিসা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

বার্তা বাজার/এইচএসএস