কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কোদালকাটি খাল খননের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ঠিকাদারের দেয়া সাব কন্টেক্টার গ্রুপ ও খালের পাশে থাকা জমির মালিকগণ। কৃষকদের দাবী খননের নামে জমি যেন বিলিন না হয়। সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে মেসার্স মুমিনুল হক এণ্ড হাসান কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গোছামারা খাল খননের চুক্তি পান। এক সপ্তাহ আগে ওই খালের খনন কাজ শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটি।

স্থানীয় কিছু সংখ্যক কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সকাল ১১ টায় শিমুলাকন্দি ইউনিয়ন গোছামারা এলাকায় কোদালকাটি খালটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এলজিইডি নারায়নগঞ্জ অঞ্চল এর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল বাসেদ বলেন, কোন কৃষকের ক্ষতি না করে খাল খননের নির্দেশ দেন ঠিকাদার প্রতিষ্টানকে। সব দিকে খেয়াল রেখে আধুনিক পদ্ধতিতে খাল খনন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে খাল খনন হচ্ছে। সরকারি নিয়ম মেনেই খাল খনন কাজ করতে হবে। আজকের পরিদর্শনের বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করবো। তাছাড়াও জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করবো খাল খনন করতে গিয়ে যেন কোন কৃষকের জমি নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই যেন খনন কাজ করা হয়। কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মেজারমেন্ট অনুযায়ী কাজ হবে। এ কাজ সম্পূর্ণ ডিজিটাল নিয়মে করা হচ্ছে। এখঅনে এসে জানতে পারলাম স্থানীয়দের দাবী খাল খনন হোক। খালটি খনন হলে কৃষকদের ব্যপক উপকার হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিমুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপন, সাবেক চেয়ারম্যান হারিস মিয়া, বাবুল মিয়া, শ্রীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল বাশার, শিমুলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজসহ স্থানীয় গন্যমান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/এম আই