লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদহে আপেল মিয়া ৩২ নামের এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কর্তন করেছেন স্ত্রী শরিফা বেগম (৩০)। এঘটনায় স্ত্রীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।

শুক্রবার ১৫ ই সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নিজ শয়ন কক্ষে স্ত্রী রহিমা বেগম তার স্বামীর পুরুষাঙ্গটি ব্লেড দিয়ে কর্তন করে। সে সময় রহিমার স্বামী আপেল মিয়া ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন।

আপেল মিয়ার চিৎকার চেঁচামেচিতে মা পাশের ঘর থেকে বেড় হয়ে দেখেন আপেল কাঁপছে আর বলছে মা আমি শেষ হয়ে গেলাম। তখন আপেলের মা পাশের লোকজনকে ডাকেন। ওই সময় রহিমার হাতে থাকা ব্লেড পায়ের ডোবায় ফেলে দেন। এরপর স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশে এসে রহিমা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যান এবং আহত আপেল মিয়াকে অটোরিকশা যোগে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

অভিযোগ সূত্র এবং আপেলের বাবা সাইফুল ইসলামের কাছে থেকে জানা যায়, ১২ বছর পূর্বে মুসলিম রীতিতে তাদের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে তাদের সংসার জীবনে সামান্য বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হতে থাকে। একাধিকবার তাদের ঘরোয়া ভাবে বোঝানো হলেও কোন কাজ হয়নি। উভয়ের মাঝে পরকীয়ার সন্দেহের তীর থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এক বছর আগে শরীফা নিজেই আত্মহত্যার চেস্টা করে বলে জানা যায়। আপেল এবং শরিফা দম্পতির সোহান( ১০) আলাউদ্দিন ৩ বছরের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান,শরিফা এবং আপেল যখন ব্রাক স্কুলে পড়াশোনা করছিলে তখন থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর তারা ঢাকায় গার্মেন্টস কাজ করছিল।

বার্তা বাজার/জে আই