টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের খুপিবাড়ি,লাহিড়িবাড়ি ও ফসল গ্রামের রাস্তা একটু বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।ফলে আশে পাশের দশ গ্রামের মানুষকে যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে নানা রকম বিড়ম্ভনায়।

সরেজমিনে খোজ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের লাহিড়ি বাড়ি খুপিবাড়ি, ফসল গ্রামের রাস্তাটি একটু বৃষ্টি এলেই কর্দমাক্ত হয়ে যায়। খুপিবাড়ি কাহারের খাল ব্রীজ হইতে লাহিড়ি বাড়ি ফসল হয়ে চাপড়ী হাসান মোড় পর্যন্ত হয়ে ৪ কিঃমিঃ রাস্তা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। খুপিবাড়ি লাহিড়ি বাড়ি দশ গ্রামের বিশ হাজার মানুষ যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। চাপড়ি, সংগ্রামপুর, কাউটে নগর, বোয়ালি হাটবাড়ি খুপিবাড়ি এই গ্রামে সবজি থেকে শুরু করে,লেয়ার মুরগির ডিম, নানা কাঁচা মাল বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী করা হয়। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে কাঁচা শাক সবজি রাস্তায়ই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোন ভাবে কষ্ট করে যানবাহনে বহন করা হয় তাহলে উৎপাদনের সাথে খরচের সামঞ্জস্য থাকে না। কৃষকের লোকসানের মুখে পড়তে হয়।এই এলাকায় কোন লোক অসুস্থ্য হলে যাতায়াত ভ্যান কিংবা সিএনজি চালিত অটো রিক্সা। কিন্তু রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে মুমুর্ষ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। কোন মায়ের প্রসব বেদনা হলে রাস্তার কারনে কোন অ্যাম্বুলেন্স যায় না ফলে রাস্তায় সন্তান প্রসব করতে হবে। এই তিন গ্রামের শিক্ষার্থী রাস্তার বেহাল অবস্থার কারনে তারা সময় মতো পরিক্ষার হলে ও স্কুলে যেতে পারে না। কাদা পানি মাড়িয়ে তাদের স্কুলে যেতে হয় প্রতিদিন। এমনকি একটু বৃষ্টি হলে রাস্তার কারণে তাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। এক মাত্র রাস্তার কারনে সরকারের নানা রকম সুফল থেকে বঞ্চিক হচ্ছে আশেপাশের দশ গ্রামের মানুষ।

মোমিনপুর স্কুলের শিক্ষক গোপিনাথ বলেন, বাড়ির থেকে বের হলে রাস্তার অবস্থা দেখলে কান্না আসে। এত উন্নয়ন হচ্ছে অথচ আমাদের কোন উন্নয়ন হচ্ছে না।

সংগ্রামপুর ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি মেম্বার মোঃ হানিফা জানান, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় চলা ফেরা করা যায় না। আমার পরিষদে সবাই অনেকবার উপরে জানিয়েও কোন কাজ
হয়নি।

রাস্তার বিষয়ে সংগ্রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস বাবু জানান, এ রাস্তার সংস্কারের জন্য কাগজ পত্র জমা দেওয়া হয়েছে অচিরেই এর কাজ ধরা হবে ।

এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মোঃ হেদায়েত উল্লাহ জানান, রাস্তাটি সংস্কার করতে একটু সময় লাগবে। তবে আমরা চাহিদা পত্র দিয়ে রেখেছি পাশ হয়ে আসলেই কাজ শুরু করা হবে।

বার্তাবাজার/এম আই