ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ির প্রধান ফটক-দরজা ভেঙে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় মাস্ক পরিহিত ডাকাতরা বাড়িতে প্রবেশ করে লোকদের হাত-পা বেঁধে ফেলে।

মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ডাকাতদলের হামলায় নারী-পুরুষসহ চারজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, বাড়ির মালিক সাইদুল ইসলাম (৭০), তার স্ত্রী জোৎস্না চৌধুরী (৬০), ছেলে মাইনুদ্দিন ইসলাম (২৬) ও মেয়ে আয়েশা আক্তার মুক্তা (২৮)। এরমধ্যে আয়েশা আক্তার মুক্তার দুই হাতের আঙুল ও মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাইদুল ইসলামের মেয়ে সাদেকা ইসলাম জানান, আমার দুই ভাই ও এক বোন প্রবাসে থাকে। বোন সম্প্রতি সুইডেন থেকে দেশে আসেন। সোমবার সন্ধ্যায় সে আবার প্রবাসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে চলে গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে আমার বোন আয়েশা আক্তার মুক্তা ঘরের বাহিরে বাথরুমে যায়। এই ফাঁকে ২৫/৩০জনের একটি ডাকাত দল বাড়ি ঘিরে ফেলে। এরমধ্যে ১০/১২জন বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। ভবনের কলাপসিবল গেইট ও দরজা ভেঙে ৭ জন ঘরে প্রবেশ করে। তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমার বাবা, মা ও ভাইকে মারধর করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। আমার বোন টয়লেট থেকে ঘরে প্রবেশ করে ডাকাতরা তার মাথায় আঘাত করে। এতে সে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যায়। ডাকাত দল ঘরে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে যায়। যাবার সময় মায়ের কানের লতি ছিড়ে দুল দিয়ে যায়। আহত আয়েশা
আক্তার মুক্তা বলেন, বাথরুম থেকে ফিরে দেখি ডাকাতদল আমার দুই শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে রেখেছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসাইন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাকাতদের গ্রেফতাররের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি।

বার্তাবাজার/এম আই