মাদারীপুরের রাজৈরে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ও গেটের দেয়াল ভাংচুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ রফিক মাতুব্বর ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৯ জুলাই) গভীর রাতে উপজেলার চর বদরপাশা গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রতিপক্ষের দাবি, কোর্টের রায় পেয়েও জায়গায় আসতে না পারায় রাতের আধারে গাছ কেটে পরিস্কার করা হয়, এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চর বদরপাশা গ্রামের রফিক মাতুব্বর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান হাওলাদারে মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত উক্ত জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে রাতের আধারে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ভাংচুর করে রফিক মাতুব্বর ও তার লোকজন। একইসাথে ওই জায়গার উপর নির্মাণ করা দেয়াল ভাংচুর ও আমগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে তারা।

ক্ষতিগ্রস্থ মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের বড় ছেলে সোহাগ হাওলাদার বলেন, প্রতিপক্ষ রফিক মাতুব্বর তার লোকজন নিয়ে গভীর রাতে আতর্কিত আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাংচুর করে। তাদের সাথে আমাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই। তবে আমাদের জায়গাকে তাদের নিজেদের জায়গা বলে দাবি করে। কিন্তু জায়গাটি আমার বাবা প্রায় ৩০ বছর আগে কিনেছেন। আমাদের দলিল পর্চাসহ সবকিছুই ঠিক আছে। এরপরও রাতের আধারে আমাদের দেয়াল ভাংচুর করেছে ও গাছগুলো কেটে ফেলেছে। আমাদের উপর এমন অত্যাচারের বিচার চাই।

অভিযুক্তের একজন প্রতিপক্ষ মিন্টু মাতুব্বর বলেন, মোট জায়গা এগার শতাংশ। আমরা এই জায়গা কোর্টের রায় পেয়েছি। তাই আমাদের জায়গার গাছ কেটে পরিস্কার করেছি। তবে আমরা তাদের বাড়িতে কোন হামলা করি নাই। দুইপক্ষের লোকজনই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে।
পরে আপনাদের জায়গা হলে রাতের আধারে গাছ কাটালেন কেন? প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাদের কাছেও একটা দলিল আছে, যেটা আমাদের পরে করেছে। সেজন্য আমরা দিনে জায়গার কাছে আসতে পারি না, তাই রাতে গাছ কেটে পরিস্কার করে দিয়েছি।

রাজৈর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, ওই জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই জেরে ভাংচুর ও গাছ কর্তনের ঘটনা ঘটে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বার্তা বাজার/জে আই