সামনে লক্ষ্য ৩৩২ রানের। অথচ বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন টেস্ট খেলছেন। তবু উইকেট টিকলে কথা ছিল। আত্মাহুতির মিছিল চলছে তাদের। ২৫ রানে ৩ ব্যাটার সাজঘরে ফিরে গেছেন। একের পর আরো তিন উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের দিকে বাংলাদেশ।

লিটন দাস জীবন পান একবার। আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন। এরপর ফজলহক ফারুকির বলে পরাস্ত হন ভালোভাবেই। জোরালো আবেদন হয়নি। বারকয়েক এমন নড়বড়ে ব্যাটিংয়ের পর লিটন নিজেকে শুধরে নিতে পারেননি। আউট হয়েছেন বাজেভাবে।

আফগান পেসার ফারুকিকে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেছেন ১৩ রান।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়েছেন ১ রান করে। মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণি বল বুঝতে না পেরে স্টাম্প উড়ে যায় শান্তর। ২৭ বলে ৯ করেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা নাইম শেখ, তার স্টাম্প উড়িয়েছেন ফারুকি।

সামনে বিশাল লক্ষ্য। অথচ প্রথম ওভারটা আফগান ফজলহক ফারুকিকে মেইডেন দিয়ে শুরু করে নাইম শেখ। দ্বিতীয় ওভারে স্পিন আক্রমণে নিয়ে আসেন আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদি।

মুজিব উর রহমানকে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকান লিটন। এরপরই অবশ্য বিপদে পড়তে যাচ্ছিলেন। বল প্যাডে লাগলে আফগানদের আবেদনে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার।

তবে লিটন সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন। রিপ্লেতে দেখা যায় বল প্যাডে আঘাত হানার সঙ্গে লেগেছে ব্যাটেও। ব্যক্তিগত ৮ রানের মাথায় বেঁচে যান লিটন। তবে সেই জীবন কাজে লাগাতে পারেননি।

এদিন সাকিবকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে তওহীদ হৃদয় কিন্তু রশিদ খানের ঘুর্ণিতে বোল্ট হয়ে ফিরে যান হৃদয়।

এরপর রশিদের তোপের মুখে আফিফও দাড়াতে পারেনি ক্রিজে।

বার্তাবাজার/এম আই