আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনের নতুন মুখ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে রোজেল আহমেদ। ছোট বেলায় দেখা স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অঙ্গনে ধারাভাষ্যের অভিষেক ঘটেছে রোজেল আহমেদের।

মায়ের তৈরী কাঠের ব্যাট দিয়ে ক্রিকেটে হাতে খড়ি হয় এই তরুণের। ক্রিকেটের প্রতি গভীর ভালবাসা থেকে শুরু হয় ধারাভাষ্যের প্রয়াস। ছোট বেলায় টেলিভিশনে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে খুব মনোযোগী হয়ে ধারাভাষ্য শুনতেন রোজেল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে ধারাভাষ্যের অনুশীলন শুরু করেন তিনি। খুব অল্প সময়ে বন্ধুমহল থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রশাংসা পেতে শুরু করে তিনি। বিভিন্ন ছোট ছোট ক্রিকেট টুনামেন্টের ধারাভাষ্যের মধ্য দিয়ে অভিষেক হয় তার।

ধারাবাহিকভাবে ওয়াল্টন কর্পোরেট টি টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট অর্গানইজড বাই টিকে স্পোর্টস, লাইফ স্প্রিংস ডমিনেটরস কাপ, বঙ্গবন্ধু ফর নেশন্স ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, প্র বক্সিং দি আলটিমেট গ্লোরি, ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ, বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপ, হকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, বসুন্ধরা কিংস ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ এ ধারাভাষ্য দিয়ে ক্রীড়া মহলে বেশ পরিচিতি লাভ করেন । ২০২১, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে টানা তিনবার তিনি “বিজিএমইএ কাপ” ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের নিলাম পরিচালনা করেন ।

যে স্বপ্ন ছোট বেলা থেকে তিনি দেখতেন একদিন আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার হবেন সেই দিনটা আসলো ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ “বাংলাদেশ উইমেন বনাম অস্ট্রেলিয়া উইমেন” টি-টোয়েন্টি সিরিজে । আর এই সুযোগটা করে দেন অস্ট্রেলিয়া ট্যুর অব বাংলাদেশের ব্রডকাস্টার “সাইলেন্ট মিডিয়া” এর সিইও রবি হোসাইন নীরব এবং প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার কুমার কল্যান। এই সিরিজের দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রোজেল ধারাভাষ্য দেন। ভবিষ্যতে মেন্স ইন্টারন্যাশনাল, আইসিসির টুর্নামেন্টসহ অ্যাশেজ সিরিজে ধারাভাষ্য দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

স্বপ্নবাজ তরুণ রোজেল আহমেদ বলেন, শৈশবের টিভিতে দেখা ক্রিকেট টুনামেন্টে সেই ধারাভাষ্য থেকে স্বপ্ন বুনতে শুরু করি। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজে নিজে ধারাভাষ্য দেওয়ার চেষ্টা করতাম। সেই চেষ্টা আজ আলোর মুখ দেখেছে। ইতোমধ্য দেশের আভ্যন্তরীণ উল্লেখ্যযোগ্য বেশ কিছু ক্রিকেট ম্যাচের ধারাভাষ্য দেওয়ার সুযোগ হয়েছে। মেন্স ইন্টারন্যাশনাল আইসিসির টুর্নামেন্টসহ অ্যাশেজ সিরিজে ধারাভাষ্য দেওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে এই ধরনের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচেও ধারাভাষ্যের সুযোগ হবে আশাকরি।

তিনি বলেন, যার যার অবস্থান থেকে নিজ দেশের সুনাম ও পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য কাজ করা উচিত। চেষ্টা কখনো বৃথা যায়না। ছোট্ট চেষ্টা এক সময় সফলতার দ্বারা প্রান্তে নিয়ে যায়। দেশের সুনাম অর্জনে আগামীতে আমার ধারাভাষ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী।


বার্তা বাজার/এইচএসএস