দেশের ফুটবল যখন নানামুখী সমালোচনায় বিদ্ধ, ঠিক তখনই ১৪ বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল। স্বপ্ন ছিল ফাইনালে খেলার। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, তাতে সমর্থকদের স্বপ্নটাও বড় হচ্ছিল। তবে কুয়েতের বিপক্ষে জমজমাট লড়াইয়ের ম্যাচ ১-০ গোলে হেরে সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের

 

গোলের দুটি সহজ সুযোগ মিস করে সেমিফাইনালেই শেষ হলো বাংলাদেশের সাফ অভিযান। র‍্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা কুয়েতকে এত সহজে ছাড় দেয়নি বাংলাদেশ। ম্যাচের মূল ৯০ মিনিট শেষ হয়েছে গোলশূন্যভাবে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমজমাট হয়ে ওঠে।

 

দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বনাথের লম্বা থ্রো ইন থেকে ডান প্রান্ত দিয়ে রাকিবের নিচু ক্রস বক্সে পেয়েও গোলকিপারের শরীরে মেরে বসেন মোরসালিন! দ্বিতীয় দফায় বল ফেরত এলেও সেটা ঠিকমতো আয়ত্তে নিতে পারেননি। সপ্তম মিনিটে কুয়েত তাদের প্রথম সুযোগটি পায়। কর্নার থেকে মুহাইসিনের হেড ডিফেন্ডার ইসা ফয়সাল প্রায় গোললাইন থেকে প্রতিহত করেন।

 

২১ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল করতে পারেননি তপু বর্মন। ২৮ মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন রাকিব হোসেন। কিন্তু সেটা গোলকিপারের হাতে জমা হয়। পরের মিনিটেই আল রশিদির সরাসরি ক্রস প্রতিহত করেন গোলকিপার জিকো। প্রতিপক্ষের দুর্গে বারবার ত্রাস ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন রাকিব।

 

৩১ মিনিটে মোরসালিনের বাঁ প্রান্তের ক্রসে রাকিব আবার শট নিতে গেলে এর আগেই ক্লিয়ার করে দেন কুয়েতের ডিফেন্ডার। ৪০ মিনিটে সুযোগ তৈরির চেষ্টায় ছিল কুয়েত। তবে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশের রক্ষণ। আল রশিদির বাঁ পায়ের জোরালো নিচু শট এবারও প্রতিহত করেন গোলকিপার জিকো। বিরতির পরও আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলছিল। ৫৪ মিনিটে রাকিবের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। ৬১ মিনিটে রাকিবের শট গিয়ে লাগে ক্রসবারে। দ্বিতীয়ার্ধে এটাই ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ সুযোগ।

 

ম্যাচের দুই অর্ধে দুটি সহজ সুযোগ মিস করার পর ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয়। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেই অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ভাগও প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ম্যাচের বাঁক বদলে দেন ফুল ব্যাক আব্দুল্লাহ আল বোলৌশি। তার গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় কুয়েত।

 

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার