পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়ে জাতিসংঘের প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আহ্বান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে সিলেটের খাদিমনগর ইউনিয়নে দরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আহ্বান মনগড়া। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তারা এসব কথা বলেছে। তারা চায় বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখতে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য নেয় অনেক যাচাই বাছাই করে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে জানে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের ১ লাখ ৮৬ হাজার শান্তিরক্ষী বাহিনী পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় শান্তিরক্ষায় সাহায্য করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যারা অতিরঞ্জিত কাজ করে, সরকার তাদের শাস্তি দেয়। দেশে যারা অতিরঞ্জিত কাজ করেছিল, অন্যায় কাজ করেছিল, তাদের শাস্তি হয়েছে। এমনকি তাদের মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। এমন লোকদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যারা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং পারিবারিকভাবে প্রভাবশালী ছিল। তারপরও সরকার তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখায়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। যে সব দেশ উন্নতি করে সে সব দেশকে দাবিয়ে রাখতে কিছু দেশি-বিদেশি শক্তি কাজ করে। বাংলাদেশ বিদেশিদের কাছ থেকে এখন অল্প টাকা নেয়। বিদেশিরা চায় তাদের কাছে হাত পাতবে, সাহায্য নেবে। ফলে তারা তাদের ইচ্ছেমতো দেশকে পরিচালিত করবে। আমরা মনে করি, সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা ঠিক না।

বার্তা বাজার/জে আই