মানবেতর জীবন যাপন করছেন লালমনিরহাট রেলওয়ে’র ১৮৬ জন অস্থায়ী শ্রমিক (টিএলআর পদের)কর্মচারী। চলতি বছরে কোনো বেতন না পাওয়ায় দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন ওই শ্রমিকরা।

সোমবার (১২ জুন) নিজেদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন লালমনিরহাটে কর্মরত অস্থায়ী রেলওয়ে শ্রমিক টিএলআরগণ। রেলওয়ে সুত্রে হতে জানা যায়, মঞ্জুরির বাহিরে দীর্ঘ সময় ধরে সারা দেশে প্রায় ৭ হাজার অস্থায়ী শ্রমিক দিয়ে রেলওয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ৭২ টি স্টেশনে পয়েসম্যান, গেটকিপার, পোর্টার, স্টেশন মাষ্টার পদে কর্মরত। এই পদের শ্রমিকেরা সরাসরি রেলওয়ে’র নিরাপত্তার সাথে জড়িত। এ বছরের পবিত্র ইদুল ফিতরে বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সেই সাথে আসন্ন ইদুল আজহাতেও বেতন না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়েতে অস্থায়ী গেটকিপার পদে কর্মরত জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, বেতন না পাওয়ায় গত ইদুল ফিতর উৎযাপন করতে পারিনি। ভেবেছিলাম ঈদের পর বেতন পাবো কিন্তু তাও পায়নি। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে কাটছে দিনগুলো।

ল্যাম্পম্যান পদে কর্মরত মোহাম্মদ ফুহাদ বলেন, চাকুরী করি কিন্তু পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে পারি না। গত ঈদে পরিবারের সদস্যদের জামা কাপড় কিনতে পারিনি।আসন্ন ঈদের আগে বেতন না পেলে সকলকে না খেয়ে থাকতে হবে।

ল্যাম্পম্যান পদে কর্মরত মোহাম্মদ রাকিব বলেন, যেসব দোকান থেকে বাকি খরচ নিয়ে পরিবার চালাতাম তারাও এখন বাকি দিতে চায় না। আমাদের এ কষ্টের কথা কে শুনবে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই আমাদের বকেয়া বেতন যেনো তাড়াতাড়ি দেয়া হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, রেলওয়ের কর্মরত টিএলআরগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝর বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন রেল স্টেশনে দায়িত্ব পালন করে আসছে অথচ তাদের কাজের মজুরি পাচ্ছে না। তাই কতৃপক্ষের কাছে বকেয়া বেতন পরিশোধ করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাজেট বরাদ্দ না থাকায় অস্থায়ী পদে অর্থাৎ টিএলআরে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন সঠিকভাবে প্রদান করা সম্ভব হয়নি। আমরা তাদের বেতন প্রদানের জন্য অফিসিয়াল ভাবে পত্র প্রদান করেছি।

বার্তা বাজার/জে আই