দেবীদ্বার পৌরসভার মেয়র পদে প্রার্থী বাছাই নিয়ে অসন্তোষের জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার বারেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ১৭ জুলাই দেবীদ্বার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিতে বারেরা গ্রাম থেকে বিএনপির এক নেতাসহ চারজন প্রার্থীতা ঘোষণা দেন।

তারা হলেন পৌর আওয়ামী লীগ নেতা হাজী কেফায়াতুল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোসলেহ উদ্দিন মানিক, এম গোলাম জাহাঙ্গীর স্বপন মোল্লা ও বিএনপি নেতা শাহজাহান মোল্লা।

পরে গ্রামের ঐক্যের স্বার্থে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের এক করে সভা আহ্বান করে গ্রামবাসী। গতকাল সকাল ১০টায় সভার কার্যক্রম শুরু হয়। সভায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক ও অনুসারারী উপস্থিত হন। কিন্তু সভায় কোনো সমঝোতা হয়নি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মো.শাহজাহান মোল্লা বলেন, বারেরা একটি বড় গ্রাম। এখানে প্রায় ৮ হাজার ভোট আছে। এ গ্রাম থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও বিএনপি থেকে আমি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করেছি। গ্রামবাসীর সিদ্ধান্ত ছিল আওয়ামী লীগদলীয় তিনজন থেকে যে দলীয় মনোনয়ন পাবে, আমরা সবাই গ্রামের স্বার্থে তার পক্ষ হয়ে কাজ করব। এটি ওই প্রার্থীরাও মেনে নিয়েছিল। কিন্তু এ তিনজনের মধ্যে দলীয় নৌকা প্রতীক কেউ পাননি। তাই গ্রামবাসী ঐক্যর স্বার্থে একক প্রার্থী চূড়ান্তের জন্য গতকাল সভা ডাকেন। সভায় আওয়ামী লীগের তিন নেতা পূর্বের কথা না রেখে মেয়র পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলে তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

তবে মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোসলেহ উদ্দিন মানিক বলেন, গ্রামবাসীর মধ্যে ঐক্যের সভা ছিল। বিএনপি নেতা শাহজাহান মোল্লা সভার সভাপতিসহ একটি কোরাম করে নিজের পক্ষে রায় নেওয়ার চেষ্টা করেন। আমি বাধা দেই। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

বার্তা বাজার/জে আই