নৌযান শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দরের অনিদিষ্টকালের জন্য নৌ যান ধর্মঘট স্থগিত করেছে শ্রমিকরা। সোমবার বেলা ১১ টায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের আশ্বাসে শ্রমিকরা এই কর্মবিরতী স্থগিত করেন। এবং আগামীকাল মঙ্গলবার আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কার্গো জাহাজ মালিক ও শ্রমিকদের সাথে একটি বৈঠক হবে। বৈঠকে আইন ভঙ্গকারীদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করা হবে বলে জানান তিনি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহম্মেদ, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার মাষ্টারসহ নৌ যান শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার মাষ্টার জানান, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের আশ^াসে শ্রমকিরা আপাতথ কর্মবিরতী স্থগিত করেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা আগামীকাল উপজেলা পরিষদে মালিক ও শ্রমকিদের বৈঠক হবে।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক জানান, শ্রমকিদের সাথে কথা বলে তাদের সুষ্ঠু বিচারের প্রত্যাশায় তারা আপাপথ ধর্মঘট স্থগিত করেন। আগামীকাল মঙ্গলবার আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কার্গো জাহাজ মালিক ও শ্রমিকদের সাথে একটি বৈঠক হবে। বৈঠকে আইন ভঙ্গকারীদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করা হবে।

উল্লেখ্য এর আগে ১০ মে শনিবার দুপুরে কার্গো জাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতৃ-বৃন্দ ও ওয়াটার টান্সপোর্ট সেলের নেতৃ-বৃন্দ আসেন আশুগঞ্জ ও ভৈরব নৌ বন্দরে। এ সময় মালিক পক্ষের লোকজন কোন কারণ ছাড়াই তীরে নোঙ্গরে থাকা এমভি শাহানায়া শেখসহ মোট ১৮টি জাহাজের শ্রমিকদের মারধর করেন। শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকেই তারা অনিদিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করেছিল।

উল্লেখ, আশুগঞ্জ নদী বন্দরে নৌপথে সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পন্য নিয়ে প্রতিদিন অর্ধশত জাহাজ নোঙ্গর করে। এ সব পন্য আশুগঞ্জ থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জের পন্যেও চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এই বন্দরে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করে।

বার্তা বাজার/জে আই