প্রায় একযুগ ধরে দেশে সক্রিয় নানা ধরনের ই-কমার্স প্লাটফর্ম। দিনদিন এর আকারও বাড়ছে। কিন্তু এদের কাছ থেকে ভ্যাট নেওয়ার কোনো নির্দেশনা ছিল না এতদিন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে মার্কেটপ্লেস হিসেবে ঘোষণা দেওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

 

তারা বলছেন, এতে ভ্যাট দেওয়ার ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা দূর হবে, আগ্রহ বাড়বে বড় বিনিয়োগকারীদের। তবে লেনদেন কর বা টার্নওভার ট্যাক্স না কমানোয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে কিছুটা ক্ষোভ।

 

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সংজ্ঞায়ন করা হয় মার্কেটপ্লেসের। ফলে নিয়ম মতই অনলাইনে পণ্যবিক্রির কর বর্তাবে বিক্রেতার ওপর। এ কারণে পরিষ্কার হচ্ছে ভ্যাট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে জবাদিহিতার বিষয়টিও।

 

দারাজের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেছেন, ‘যদি একটা বড় বিজনেস করতে চান, আপনার কিন্তু ক্ল্যারিটি লাগবে পলিসি এবং ট্যাক্স স্ট্রাকচারের ওপর। এখন আমরা এখন ট্যাক্স স্ট্রাকচারের একটা ক্ল্যারিটি পেয়েছি। সরকার এখন বলে দিয়েছে আমরা ক্রেতা বা বিক্রিয়কারী না। আমরা শুধু একটা মাধ্যম যার মাধ্যমে সেলাররা সেল করছে।’

 

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মার্কেটপ্লেসের স্বীকৃতির ফলে বড় বিনিয়োগকারীরাও এই খাতে বিনিয়োগে উৎসাহ পাবেন, আসতে পারে বিদেশি বিনিয়োগও।

 

বিক্রয় ডট কমের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইশিতা শারমিন বলেন, ‘এটা আমাদের ব্যবসার প্রচার-প্রচারে যেমন কাজে লাগবে বাংলাদেশ ই-কমার্স ব্যবসার সাথে রিলেটেড প্রত্যেকটা কোম্পানিরই এখানে একটা বড় সুযোগ চলে আসছে। এ কারণেই আমরা বাজেটকে ধন্যবাদ জানাই।’

 

তবে টার্নওভার কর দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ১ শতাংশ করার যে দাবি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো করছিল তা বিবেচনা করা হয়নি প্রস্তাবিত বাজেটে।

 

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার