গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে লড়াই হলো চাচা-ভাতিজার। সেই লড়াইয়ে চাচা লিয়াকত আলী ভুঁইয়াকে (আনারস) হারিয়ে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন কামরুজ্জামান ভুঁইয়া লুটুল (টেলিফোন)।

বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভুঁইয়া লুটুল বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য।

পরাজিত লিয়াকত আলী ভুঁইয়া ৪নং চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও এই উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভুঁইয়া লুটুল সম্পর্কে পরাজিত প্রার্থী লিয়াকত আলী ভূঁইয়ার চাচাতো ভাতিজা।

কামরুজ্জামান ভুঁইয়া লুটুল টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিয়াকত আলী ভুঁইয়া (আনারস) পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৬৪ ভোট।

এ উপজেলায় সুশীল বিশ্বাস শিপন উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আজিজুল ইসলাম সিকদার পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৫ ভোট।

নিরুন্নাহার হাঁস প্রতীক নিয়ে ৫৪ হাজার ২৬ ভোট পেয়ে নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কলস প্রতীক নিয়ে শাহানাজ নাজনীন বাবলী পেয়েছে ৪৫ হাজার ৭৭০ ভোট। উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৯৩ হাজার ১৫১ জন।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার ফলাফল রাত সাড়ে ১০টার মধ্য ঘোষণা করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র শেখ মনি অডিটোরিয়ামে দুই ভাইস চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতি শুরু হয়। স্থগিত হয়ে যায় ফলাফল ঘোষণা। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বার্তা বাজার/এইচএসএস