দেবহাটায় ১৩ দিনে প্রায় ১৫ হাজার ২৪০ কেজি অপরিপক্ক ক্যামিকেল মিশ্রিত আম জব্দ করেছে প্রশাসন। গত ২৯ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ সব আম জব্দ করা হয়। পরে তা বিভিন্ন স্থানে ট্রাকের চাকায় পিষে নষ্ট করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসাররের কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৯ এপ্রিল ৫০ ক্যারেটে ১ হাজার কেজি, ৩০ এপ্রিল ৮৪ ক্যারেটে ১৬শ ৮০ কেজি, ১ মে ১১৪ ক্যারেটে ২২শ ৮০ কেজি, ২ মে ৪০৩ ক্যারেটে ৮ হাজার ৬০ কেজি, ৯ মে ৫৩ ক্যারেট ও ২টি ঝুঁড়িতে ১৩শ কেজি, ১০ মে ৪৬ ক্যারেটে ৯২০ কেজি আম জব্দ হয়। সব মিলে ১৩ দিনে প্রায় ১৫ হাজার ২৪০ কেজি আম জব্দ পরবর্তী বিনষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৩ দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক, পিকাআপ, পরিবহন থেকে বিপুল পরিমান আম জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত আম জনসম্মূখে বিনষ্ট করা হয়। তিনি আরো জানান, জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও আম ক্যালেন্ডর করা হয়েছে। কিন্তু একটি শ্রেণির অস্বাধু ব্যবসায়ী সাতক্ষীরার আমের সুনাম নষ্ট করতে অপরিপক্ক আমে ক্যামিকেল মিশিয়ে তা কৃত্রিম ভাবে পাঁকানোর পর বাজারে বিক্রি করছে। আর তাই অভিযানে অপরিপক্ক ও ক্যামিকেল মিশ্রিত আম জব্দ করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ থেকে বিরত থাকতে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। আমের সুনাম নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

অভিযানে জব্দ আম বিনষ্টকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) দীপা রানী সরকার, উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শওকত ওসমান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জয়দেব কুমার প্রমুখ।

এদিকে, জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি দপ্তরের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ক্যালেন্ডার করা হয়েছে। এতে ৯ মে থেকে গোপাল ভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখী সহ স্থানীয় জাতের আম পাড়া শুরু হয়েছে। এছাড়া ১১ মে শনিবার থেকে গোবিন্দভোগ, ২২ মে থেকে হিমসাগর, ২৯ মে থেকে ল্যাংড়া ও ১০ জুন থেকে অম্রপলি আম পাড়া যাবে।