উত্তরার দক্ষিণখানে ১৫ বছরের এক কিশোরী গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে আল আমিন (২১) ও রানা মিয়া (১৮) নামে তারই দুই সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিন খান থানা পুলিশ। রাজধানী দক্ষিণখানের চামুরখান থেকে শুক্রবার মধ্যরাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ চৌরাস্তা এলাকার লায়লা খাতুনের ছয় তলা ভবণের পঞ্চম তলায় বৃহস্পতিবার রাতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

কিশোরী গৃহবধূ উত্তরখান থানার চামুরখানে স্বামীর সাথে ভাড়া বাসায় থাকেন এবং চামুরখানের একটি চুলের ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। উক্ত ফ্যাক্টরিতেই আল আমিন সুপারভাইজার ও রানা অপারেটর হিসেবে কাজ করে।

ভুক্তভোগী কিশোরী গৃহবধূর অভিযোগ, “আল আমিন আমাকে তাদের সঙ্গে একসাথে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেয়। আমি প্রথমে না করলে ওরা আমাকে চাকরি থেকে বের করে দেবে কিংবা আমার বেতন কমিয়ে দেবে বল হুমকি দেয়। আমি তখন তাদের ভয়ে আমি কিছু বুঝে উঠতে না পেরে তাদের কথা মতো চামুরখান যাই। পরে আল আমিন ও রানা আমাকে রিকশায় উঠিয়ে তাদের বন্ধু শাওনের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।”

গৃহবধূ আরও বলেন, “এভাবে রাত পেরিয়ে সকাল হলে ছয়টার দিকে রানা আমাকে উত্তরখান মাজারে পৌঁছে দিয়ে রিকশা ভাড়া দেয়ার জন্য ২০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দেয়। পরে ওই অবস্থায় আমি বাসায় গেলে আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় এবং ঘাড়, গলা ও মুখের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন হওয়ায় আমার স্বামী আমাক কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলে আমি সকল ঘটনা খুলে বলি। পরে আমার স্বামী আমার বাবা-মাকে ডেকে এনে আল আমিন ও রানার বিরুদ্ধে দক্ষিনখান থানায় মামলা করে।”

এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানায় যোগাযোগ করা হলে থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আফতাব উদ্দিন শেখ জানান, দক্ষিণখান ফায়দাবাদ চৌরাস্তা এলাকার লায়লা খাতুনের ভবণে এক কিশোরী গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনার ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। সেই প্রেক্ষিতে উত্তরখানের চামুরখান এলাকা থেকে ওই দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তাবাজার/এম আই