এই গরমে সাঁতার কাটা গেলে একটু স্বস্তি মেলে। পিরিয়ডের দিনেও কাপ পরে অনায়াসে সুইমিং পুলে নেমে জলে দাপাদাপি করা যায়। গরমে শরীর যখন ঘেমে জবজবে, তখন স্যানিটারি প্যাড পরে থাকা ভীষণ অস্বস্তিকর। এই সময় কিশোরী থেকে কর্মজীবী নারীকে স্বস্তি দেবে মেনস্ট্রুয়াল কাপ।

 

তিন বছর ধরে মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করে আসছেন সিলভিয়া মাহজেবিন। চড়া গরমের দিনে মেনস্ট্রুয়াল কাপ তার কাছে যেন ‘আশীর্বাদ’। বার্তা বাজারকে সিলভিয়া মাহজেবিন বলেন, “প্যাড ব্যবহার করলে একটা চিটচিটে ভাব, ভিজে যাওয়া, ফাংগাল ইনফেকশন এসব তো থাকেই…। ”মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করলে কোনো অস্বস্তি অনুভব হয় না। কাপ পরার ভয়টা কেটে গেলে… আমার এমনও দিন গেছে যখন রক্তের ফ্লো কম থাকে, আমি ভুলেই যাই যে কাপ পরে আছি।”

তাপমাত্রার পারদ যখন চড়ে যায়, তার মধ্যে বাতাসে আর্দ্রতা যখন বেশি থাকে, শরীরে ঘাম হয় প্রচুর। এই গরমে সাঁতার কাটা গেলে একটু স্বস্তি মেলে। পিরিয়ডের দিনেও কাপ পরে অনায়াসে সুইমিং পুলে নেমে জলে দাপাদাপি করা যাবে বলে জানালেন ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে প্রকৌশলে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করা সিলভিয়া।

বার্তা বাজারকে তিনি বলেন, ”আমি সন্ধ্যাবেলা হাঁটাহাঁটি করে বাসায় ফিরলাম। হাঁটা ও গরমের কারণে আমি কিন্তু একেবারে ঘেমে গেছি। যদি প্যাড পরা থাকত, তাহলে দুই ঘণ্টা হেঁটে আসার পর কী অবস্থা হত তাতো বোঝাই যায়। ”এই গরমে প্যান্টি, আন্ডারওয়ারের কথা ভাবলেও ভালো লাগে না। উপরন্তু প্যাড পরলে, বিশেষ করে গরমে ঘামে উরুতে ঘষা লাগে, ভেজা ভেজা একটা অনুভূতি থাকে। প্যাড পরার বাজে অনুভূতিটা কাপ পরার কারণে এই গরমের দিনেও একেবারেই নেই।”

নিজের ভালো লাগার অনুভূতি থেকে সিলভিয়া মাহজেবিনের পরামর্শ, এমন গরমে কাপ পরা মানে শরীর ও মনের ’শান্তি’।

 

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার