৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রচারণা,ভুঁড়ি-ভোজ ও উপটৌকনের আয়োজনের অভিযোগে উঠেছে ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার(১৯ এপ্রিল)দুপুরে গোলাম মহিউদ্দিন কোমল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন কতৃক নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদানের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে প্রচারণা, ভুঁড়ি-ভোজ ও উপটৌকন আয়োজন করেন। এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং ও নির্বাচন অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী দেওয়ান সাইদুর রহমান।

অভিযোগের বরাতে আরো জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন তার পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার নামে তার প্রতিষ্ঠিত গোলাম মহিউদ্দিন কোমল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে বিশাল এই সভার আয়োজন করেন।

উক্ত সভায়, গোলাম মহিউদ্দিন তার পছন্দের নির্বাচনী প্রচারণা করা সহ আগতদের অধ্যায়নের জন্য ভুঁড়ি-ভোজ ও উপস্থিত সকলের জন্য উপটৌকনের আয়োজন করেন। তার এহেন কার্যক্রমে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রভাব বিস্তার করবে এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান বাঁধা গ্ৰস্থ হবে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন এবং দুপুরে খাবার খেতে দেখা যায়। সভা শেষের দিকে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুর রহমান মিল্টন কে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে চেয়ার উচু করে দিপক ফিরোজ নামের এক ব্যক্তি কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, মারার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে দিপক ফিরোজ বলেন, আমাকে হোন্ডার তেল খরচ দেওয়ার কথা ছিলো, আমি টাকা চাইলে তিনি আমার দিকে টাকা ছুঁড়ে মারেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি সব প্রোগ্রামে গিয়েই টাকা উঠিয়ে খেয়ে ফেলেন।

হরিরামপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুর রহমান (চৌধুরী) মিল্টন বলেন, ওর সাথে তো যুবলীগের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। টাকা পয়সার কোন বিষয় এখানে নাই ।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন জানান, এ বিষয়টা আমি জানিনা, এ ধরনের কিছু হয়নি। আমি ঢাকায় মিটিংয়ে আছি।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান মিঞা বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি । দলীয় প্রোগ্রাম করতে পারবে কিন্তু নির্বাচনী কোন প্রোগ্রাম তারা করতে পারবেন না । অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।