আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রিন্স সাহাসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শিহাবুজ্জামানের নেতৃত্বে সামেকের শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক আব্দুল মুহিত, সামেক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদসহ অজ্ঞাত আরও অনেকে আওয়ামী সমর্থিত ইন্টার্নি চিকিৎসকসহ শিক্ষকদের উপরে হামলার চেষ্টা করে। এসময় উপস্থিত আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও বহিরাগতদের নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেন ইন্টার্নি চিকিৎসক মুহিত ও তানভীর।
যার পুরো বিষয়টি রেকর্ড হয় সিসি ক্যামেরায়। পরবর্তী এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর তদন্ত কার্যক্রম শেষে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৭ মার্চ ইন্টার্ন ডা. আব্দুল মুহিতকে দুই মাসের ইন্টার্নশিপ স্থগিত করে। তবে এঘটনার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তানভীর আহমেদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সামেক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গত ২৯ মার্চ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে আব্দুল মুহিতকে সভাপতি ও তানভীর আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে কমিটি কমিটির বাকি সদস্য ও পদবঞ্চিতরা।
সোমবার বেলা ১২ টায় মুখোমুখি অবস্থানে ছিল দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে সভাপতি আব্দুল মুহিত ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এরপর দুই পক্ষই ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে আগামীকাল বসে সমাধান করবো। আশা করছি শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়ে যাবে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রুহুল কুদ্দুছ বলেন, মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে দুটি গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে।্র করে সংঘর্ষ হয়েছে।