লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী বিওপি এলাকায় বিএসএফ এর গুলিতে আহত হোন লিটন মিয়া (২২)। দুদিন ভারতে চিকিৎসাধাীন থাকা অবস্থায় তার মৃতু হয়। বুধবার ২৭ মার্চ রাত সাড়ে দশটায় মরদেহটি হস্তান্তর হয়।

গত সোমবার ২৬ মার্চ রাতে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুরের ইউনিয়নের দীঘলটালী গ্রামের ৯২৩ নং পিলার এলাকায় গরু চোরাকারবাড়ী সদস্যের সাথে সীমান্তের জিরো লাইনে গুলিবিদ্ধ হয় মোকছেদুল ইসলামে ছেলে লিটন মিয়া । পরে আহত লিটনকে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। জানা যায় ভারতের এমজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার ২৭ শে মার্চ সকালে তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর খবর শোনার পর দীঘলটারী বিওপির ৯২৪ নং পিলারের জিরো লাইনে বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের অফিসারগণ পতাকা বৈঠক করেন।বৈঠক থেকে জানানো হয় সন্ধান ৬ টার পর লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার ঝাউরানী ক্যাম্প এলাকা দিয়ে মরদেহটি হস্তান্তর হবে। সেখানে অপেক্ষা করেন মৃত লিটনের আত্বীয় স্বজনরা।রাত সাড়ে দশটায় ঝাউরানী ক্যাম্পের সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিজিবি বিএসএফ বৈঠক হয়। সেখানে ভারতীয় ও বাংলাদেশী পুলিশ উভয় দেশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে লিটনের মরদেহটি স্বজনের কাছে হস্তান্তর হয়।

এ বিষয়ে বিজিবি ১৫ ব্যাটালিয়ন এর পক্ষ থেকে বলা হয়, পতাকা বৈঠক শেষে লিটনের পরিবারকে মরদেহটি নেয়ার জন্য হাতিবান্ধার ঝাউরানী ক্যাম্প এলাকায় যেতে বলা হয়,সেখানে শুন্য রেখা দিয়ে মরদেহটি হস্তান্তর হয়।