বাড়ীতে চলছে মায়ের আহাজারি। আর সীমান্ত এলাকায় চলছে পতাকা বৈঠক। সাধারণ মানুষের নিশ্চুপ অপেক্ষা। কেউ স্পষ্ট বলতে পারছে না ঘটেছে লিটনের ভাগ্যে। তবে সবশেষে খবর আসে লিটন বেঁচে আছে এবং একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সোমবার ২৬ মার্চ রাতে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুরের ইউনিয়নের দীঘলটালী গ্রামের ৯২৩ নং পিলার এলাকায় গুলির আওয়াজ শুনতে পায় স্থানীয়রা। ভোরে খবর আসে সীমান্তের জিরো লাইনে গুলিবিদ্ধ হয়েছে মোকছেদুল ইসলামে ছেলে লিটন মিয়া । লিটন গরু চোরা কার বাড়ী চার সদস্যের সাথে গরু আনতে গিয়ে ভারতের ৭৫ ক্যাম্পর টহলরত জোয়ানদের বাধার মুখে পরে। বিএসএফ সদস্যদের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে লিটনের পায়ে গুলি করে বিএসএফ সদস্য।

পরে আহত লিটনকে টেনেহিঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় জোয়ানরা। এদিকে কখনো খবর আসে লিটন নিহত হয়েছে আবার কখনো খবর আসছে লিটন বেঁচে আছে। এভাবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর পতাকা বৈঠক করে বিজিবি এবং বিএসএফ সদস্যরা। ঘন্টা ব্যাপী বৈঠক শেষে জানা যায় লিটন বেঁচে আছে এবং চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে বিজিবি ১৫ ব্যাটালিয়ন এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছেন।