এ যেন পুতুলে প্রাণের ছোঁয়া। পুতুল যেন জীবন্ত। বাজছে গান। নাচছে পুতুল। মুহুর্মুহু করতালি। মুখে হাসির ঝিলিক। কথায় কথায় প্রশংসার বাণী।

ঐতিহ্য যেন ফিরে পেলো প্রাণের ছোঁয়া। একদল পুতুল। সংখ্যায় তারা ৪৯। ওরা সবাই শিশু। সেজেছে পুতুলের সাজে। স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে পুতুল সেজে গানের সঙ্গে নেচেছে তারা। মঙ্গলবার সকাল পৌণে দশটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে পুতুলের এ মাচ। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন পুতুল নাচের এ ডিসপ্লে করে। ডিসপ্লের শুরুতেই হাজারো উপস্থিতি জীবন্ত পুতুলদের করতাালি দিয়ে স্বাগত জানায়। ডিসপ্লে চলাকালেও ছিলো বেশ উচ্ছ্বাস। পুতুল নাচের এ ডিসপ্লে জেলার বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। পুতুল নাচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য। তবে সেটা যেন বিলিনের পথে। তবে এই প্রথমবারের মতো জেলার কোনো বড় আয়োজনে শিশুদের পুতুল সাজিয়ে নাচানো হলো। এর আগে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন নিজেদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনে শিশুদেরকে পুতুল সাজিয়ে নাচায়। পুুতুর নাচের অংশ নেওয়া শিশুরা জানায়, তারা আগে কখনো পুতুল নাচ দেখেনি। ডিসপ্লের জন্য বেশ কয়েকবার দেখেছে।

এরপর প্রশিক্ষক তাদেরকে তৈরি করেছেন। এ নাচে অংশ নিতে পেরে তারা বেশ খুশি। নাচের পরিকল্পনাকারি ও প্রশিক্ষক আল সাইফুল আমিন জিয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুতুল নাচের ঐতিহ্য ফেরাতে এ প্রচেষ্টা। এতে তিনি অনেকটা সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন।