যতদিন যাচ্ছে ততই ঈদ ঘনিয়ে আসছে। মুসলিমদের মাঝে বেড়ে চলেছে নতুন পোশাক কেনার ব্যস্ততা। এরই ধারাবাহিকতায় মাদারীপুরে জমতে শুরু করেছে ঈদের বেচাকেনা। ভিড় বাড়ছে পোশাকের দোকানগুলোতে। তবে পোশাকের দাম অতিরিক্ত বেড়েছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। দাম বাড়ার কথা স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরাও। এদিকে অতিরিক্ত দামে পোশাক বিক্রি রোধে বাজার মনিটরিং করার কথা জানান মাদারীপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।

সোমবার দুপুরে সরজমিনে জেলার বৃহত্তর মার্কেট রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, নজরুল ক্লাব, এমএ মজিদ মার্কেট ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখা যায়, নারী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে বিভিন্ন দোকানে। দেখে, শুনে, বেছে পছন্দ মতো পোশাক কিনে নিচ্ছেন তারা। শুধু নারী পোশাকই নয়, পাশাপাশি ঘুরে ঘুরে শিশুদের পোশাকও কিনছেন নারীরা। এসময় পুরুষদের পোশাকের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় কম দেখা গেছে। তবে নারী ও শিশুদের পোশাকের দোকানে ক্রেতাদের বেশি চাপ লক্ষ করা গেছে।

পোশাক কিনতে আসা ইতালি প্রবাসী রকিব বাওয়ালি জানায়, পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে কয়েকদিন আগে দেশে এসেছি। পরিবারের জন্য ঈদের নতুন পোশাক কিনবো, তাই মার্কেট ঘুরে দেখতে আসছিলাম। কিন্তু মনে হলো যে এবছর পোশাকের দামটা একটু বেশি।

আরেক ক্রেতা প্রিয়া আক্তার জানায়, আমরা একই সঙ্গে তিনটি থ্রি-পিচ কিনেছি। দামের সাথে পছন্দ মতো পোশাক পেতে অনেক ঘুরতে হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম অনেক বেশি।

ব্যবসায়ী ওমর, হিমেল, রথিন ও বক্কারসহ বেশ কয়েকজন দোকানী বলেন, বর্তমানে বেচাকেনার চাপ বেড়েছে। আর ৫-৬ দিন পর ভিড় আরও বাড়বে। কারণ যারা চাকরিজীবী আছে, তারা এখনো বেতন ও বোনাস পায় নাই। আগামী মাসের ২/৩ তারিখের মধ্যে বেতন পেলেই ঈদের কেনাকাটা শুরু করবেন বলে ধারনা করছি। সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবছর পোশাকের দামও কিছুটা বেড়েছে।

ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস জানান, অতিরিক্ত দামে যেন কেউ পোশাক বিক্রি করতে না পারে এ বিষয়ে আমাদের নজরদারি থাকবে। আমরা বাজার মনিটরিং করবো।