বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবনের চার ভাগের ৩ ভাগ এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে অবৈধভাবে আহরিত জাটকা, চিংড়ি রেনু পোনা, ফাইস্যা পোনা ইত্যাদির সাথে জড়িত ব্যাক্তিবর্গকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। গত ০১ মার্চ হতে আগামী ৩০ এপ্রিল দুই মাস ব্যপি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মাছের অভয়াশ্রম রক্ষার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য সমূহে যাতে অবাধে মাছ না ধরতে পারে সেজন্য নিয়মিতভাবে রুটিন টহল ও বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করে আসছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন।

কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মোঃ মুনতাসীর ইবনে মহসীন আজ দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি আরও জানান ,এছাড়াও মোংলা বন্দরে আগত বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা প্রদান এবং বিভিন্ন সময় সমুদ্রে ডুবে যাওয়া জাহাজ, ট্রলার এবং বোটের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন তার এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে চোরাকারবারী, পাঁচারকারী, বিদেশী মদ, গাঁজা, ইয়াবা, হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া, পেইন্ট, জেলিপুশকৃত চিংড়ি, চিংড়ি রেনু পোনা, ফাইস্যা পোনা, কচ্ছপ, কাঁকড়া, অবৈধ বোট ও অবৈধ জাল আটকসহ বিভিন্ন অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

উপকূলীয় ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে অবৈধ মৎস্য আহরণ, মাদক ও মানব পাচার রোধ, অবৈধ জালের ব্যবহার, বনজ সম্পদ রক্ষা, নৌযান ও নৌপথে জানমালের নিরাপত্তা বিষয়ে স্থানীয় জেলে, মাঝি ও পেশাজীবীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত জনসচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়।

মোংলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের ০১টি বেইস ও ১৪টি স্টেশন/আউটপোস্ট নিয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সুন্দরবন সংরক্ষণ এবং সুন্দরবনের অভ্যন্তরীন সকল ধরনের অবৈধ কর্মকান্ডকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক নিয়মিত অভিযান অব্যহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।