নাটোরের গুরুদাসপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিবাদী সালাম ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় উভয় পক্ষের নারীসহ অন্তত আহত হয়েছে ৯ জন। এঘটনায় আব্দুল মজিদ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

শুক্রবার ২২ মার্চ সন্ধায় উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পূর্ব নওপাড়া গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- মো. উজ্জল হোসেন, মো. বিপ্লব, মেহেদী হাসান ও নজরুল ইসলাম। তারা সবাই বড়াইগ্রামের রাজাকার মোড় এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ সুত্রে জানাযায়- বেশ কয়েকদিন যাবৎ জমি নিয়ে ওই এলাকার মৃত ঝাপু প্রামানিকের ছেলে সালামের সঙ্গে মজিদের বিরোধ চলছিলো। শুক্রবার সকালে তাদের মধ্যে কথাকাটাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়। এলাকাবাসির হস্তক্ষেপে সবাইকে থামিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে সালাম বড়াইগ্রাম থেকে গুন্ডা ভাড়া করে। এরপর সুযোগ বুঝে সন্ধায় ইফতার পর মফিজ মন্ডলের বাড়িতে সালামের পক্ষের কয়েকজনসহ ৮ থেকে ১০ জন ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী হাতে দেশীয় অস্ত্র হাতুড়ি, লোহার রড, সাবল নিয়ে মজিদের পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এমনকি বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে বসে থাকা প্রতিবেশী কয়েকজনকেও মারধর করে তারা। এসময় এলাকাবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে গুন্ডা বাহিনীকে আটকে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। এঘটনায় মফিজ, খলিল মন্ডল, জহির আলী, নিরব, দেলোয়ার, আমিরসহ উভয় পক্ষের অন্তত নারীসহ ৯ জন গুরুত্বর জখম হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনকে আটক করে এবং পরিবেশ শান্ত করে।

আহত প্রতিবেশী দিলদার হোসেন বলেন- আমি এঘটনার কিছুই জানিনা। ইফতার শেষে মফিজের বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ খলিলের বাড়িতে মারামারির একপর্যায়ে আমাকেও হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে সালামের ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী। এসময় চায়ের দোকানে বসে থাকা আরোও কয়েকজনকে মেরেছে তারা।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন বলেন- মারামারির বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে থানা পুলিশ সদস্য ও ডিবির সদস্যদের সহযোগীতায় পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের তৎপরতা চলছে।