আমার মন্ত্রী সচিব আছে,জেলা এক্স সি এন (এলজিইডি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী) আমার গোনা লাগে না, বোঝোসনাই বেপারটা, তোরা কারা? তোদের পরাশোনার যোগ্যতা কি? গেট লস্ট।

বৃহষ্পতিবার দুপুরে ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডির একটি রাস্তার কার্পেটিংয়ের চলমান কাজের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে) ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী নাবিল আহমেদ সাংবাদিকদের সাথে এই উদ্ধোত্যপুর্ন আচরণ করেন। এই সময় তিনি গনমাধ্যম মাধ্যমকর্মীদের গায়ে হাত দেন এবং ধাক্কা মারেন।

গোপন সুত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার একটি পিচঢালাই রাস্তার কার্পেটিং এর চলমান কাজে নিন্মমানের ও পুরোনো উপকরন ব্যাবহার করা হচ্ছে। এই তথ্যর ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সমকাল,বাংলা টিভি ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি সহ সরেজমিনে আরো ২ টি গণমাধ্যমের সাংবাদিক ঘটনা স্থলে যায়। ডামুড্যার খেজুরতলা নামক স্থানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে রাস্তার কার্পেটিং এর জন্য বালু, ডাস্ট, ও পাথরের সমন্বয়ে মেশিনের মাধ্যমে বিটুমিন মেলানো হচ্ছে। এই মেশিনের পুর্বপাশে রাখা হয়েছে রাস্তা থেকে তুলে আনা পুরানো কার্পেটিং এর পাথর এবং পশ্চিম পাশে রাখা হয়েছে পুরনো সেতুর ভাঙ্গা পাথর।

রাস্তার কার্পেটিং এর জন্য এই ধরনের পুরনো উপকরণ এইখানে কেন রাখা হয়েছে, গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নে প্রকৌশলী নাবিল আহমেদ গণমাধ্যম কর্মীদের উপর ক্ষেপে গিয়ে চড়াও হন। এই সময় তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, তোরা ইঞ্জিনিয়ারিং এর কি বুঝস, তোরা কারা? তোদের পরাশোনার যোগ্যতা কি? গেট লস্ট। এই সময় সমকালের সাংবাদিক সোহাগ খান সুজন বলেন, এভাবে কেন কথা বলছেন, আর আপনি গেট লস্ট বলার কে। এই কথার বলার পরে প্রকৌশলী নাবিল আহমেদ সোহাগ খানকে গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা দেন।

এই সময় ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি প্রকৌশলীকে বলেন, আপনি গায়ে কেন হাত দিচ্ছেন, আর তুই তোকারি কেনো করছেন। এই কথার জবাবে তিনি বলেন কই হাত দিয়েছি, বরং তুই আমার গায়ে হাত দিয়েছিস। আর তুই কে? তোর পরিচয় কি? তোরে গাইরালাইমানে ( গাইরালাইমানের অর্থ হচ্ছে পুতে ফেলা), আমার গায়ে কেন হাত দিলি তোরে গাইরালাইমানে। এই কথা বলে তিনি ডেইলি স্টারের প্রতিবেদকের গায়ে হাত তোলেন এবং ধাক্কা দেন । এই সময় ঠিকাদার মোহাম্মদ ইয়ামিন প্রকৌশলীকে বাধা দেন।
এইসময় সময় প্রকৌশলী আরো বলেন, তোদের পরিচয় কি, আমার শ্বশুর বাড়ির আত্মিয় টিভি চ্যানেলের চিফ রিপোর্টার, তার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও হাত রয়েছে। এখনি তোর পরিচয় বল, তারে সব জানাইতাছি।

এলজিইডির জেলা এক্স সি এন (জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী) আমাদের পরিচয় জানেন কথার জবাবে তিনি বলেন, আমার মন্ত্রী-সচিব আছে, জেলা এক্সেন আমার গোনা লাগে না, তারে আমি গুনি না বোঝোসনাই বেপারটা।

পুরাতন উপকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে, ঠিকাদার রাজন বেপারী বলেন, পুরাতন যেইসব উপকরণ রাখা হয়েছে, সেইগুলো আমার নয়। অন্য ঠিকাদার রেখে গেছেন।

এই বিষয়টি ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরীন বেগম সেতু বলেন, বিষয়টি আসলেই দূ:খজনক। তিনি কেন এই ধরনের ব্যবহার করেছেন আমি জানিনা। আমাকে সময় দিন তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করব কেন তিনি এই ধরনের ব্যাবহার করেছেন।

আপনাকে ডামুড্যা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার গোনেন না, পুরাতন কার্পেটিং এর উপকরণ রাস্তায় ব্যাবহার করতে পারবে কিনা এবং তথ্য জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে বাজে আচরণ করেছেন বিষয়টি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে, শরীয়তপুর জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এস,এম, রাফেউল ইসলাম বলেন, কারপেটিং এর পুরাতন মাল নতুন করে বিটুমিনে মেলানোর কোন সুযোগ নেই। কার্পেটিং এর পুরনো মাল রাস্তা থেকে উঠানোর পর রোলার দিয়ে রাস্তাতে মিলিয়ে ফেলতে হবে। এটা পাশেও রাখা যাবে না। মনে হয় কোন অসৎ উদ্দেশ্য রাখছেন। তিনি বাজে ব্যাবহার কেন করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথা বলব। আমি তাকে সহ আপনাদের একসাথে ডাকবো। আর তিনি যদি দোষী হয়ে থাকেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।