সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস (রাজকন্যা) ভিক্টোরিয়ার আগমনকে ঘিরে বর্ণিল রুপে সেজেছে দ্বীপ হাতিয়া। রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুনের পাশাপাশি নির্ধারিত পরিদর্শন এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
আগামী কাল বুধবার (২০ মার্চ) নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সফর করবেন তিনি। রাজকন্যার আগমনকে ঘিরে প্রশাসনের চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। তার পরিদর্শনের জায়গাগুলো পরিপাটিভাবে সাজানো-গোছানোর কাজও চলছে।

ইতমধ্যে সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা উপকূলের মানুষের জীবন-জীবিকার চিত্র নিজ চোখে দেখলেন সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া। এ সময় তিনি উপকূলের মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ জীবনের গল্প শুনেছেন ও জীবন জীবিকা কার্যক্রম অবলোকন করেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে নির্ধারিত কর্মসূচি শেষে তিনি কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয় মাঠ থেকে হেলিকপ্টারযোগে কয়রা ত্যাগ করেন।

হাতিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৮ থেকে ২১ মার্চ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করবেন সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। তার এ সফরের অংশ হিসেবে ২০ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারযোগে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সফর করবেন। এ সময় তিনি বুড়িরচর ইউনিয়নের নতুন সুইচ বাজার পরিদর্শন করবেন এবং গুচ্ছগ্রামের জেলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়া নলচিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার পরিদর্শন করবেন। তারপর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভাসানচর যাবেন এবং ভাসানচর ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করবেন।

রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া (ক্রাউন প্রিন্সেস) ২০০৫ সালে দেশে তার প্রথম সফরের প্রায় দুই দশক পর আবার বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। ২০২৩ সালে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর।

হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া আমাদের হাতিয়া আসবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তিনি হাতিয়ার বুড়িরচর ও ভাসানচর পরিদর্শন করবেন। জেলে পরিবার ও রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের জীবনযাত্রার বিষয়ে জানতে চাইবেন। তাঁর আগমনকে ঘিরে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার (ভাসানচর) মাহফুজার রহমান জানান, রাষ্ট্রীয় অতিথি সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া ভাসানচরে বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখবেন। রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করবেন। আমাদের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আশা করি তিনি সন্তুষ্ট প্রকাশ করবেন।