বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার অকাল মৃত্যুতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে রবিবার (১৭ মার্চ) জোহর নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মাহফিলে অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য রাখতে জবির কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রবেশ করেন জবির নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। মসজিদে পুরুষদের নামাযের জন্য নির্ধারিত অংশে বক্তৃতা পেশ করেন তিনি।

যা ইসলামীক আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। ইসলামে নারীদের মসজিদে প্রবেশের বিধানে বলা হয়েছে নারীরা মসজিদের যে অংশে প্রবেশ করবেন সেখানে পুরুষরা প্রবেশ করতে পারবেন না এবং পর্দা মেনে চলতে হবে। মাহফিলে মুসলিম শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়টি নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। তারা ফেসবুক বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজারুল ইসলাম শরিফ লিখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে একজন নারী বক্তব্য দিচ্ছে পরিচয় সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। ইসলাম ধর্মে স্পষ্ট অবমাননা এটা। কুরআন এবং হাদিসের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক আর ইসলাম পরিপন্থী। ক্যাম্পাসে না হয় যা খুশি কর, শেষ পর্যন্ত মুসলমানদের ইবাদতের স্থানেও ইসলাম পরিপন্থী কারবার? হে আল্লাহ তুমি আমাদের হেফাজত করো তোমার গজব থেকে।

জবির সাবেক শিক্ষার্থী মোল্লা মোহাম্মদ হাসান লিখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমাম ও খতিব সাহেব আল্লাহর ঘর মসজিদের অবমাননার দায়ভার আপনাদেরকে নিতে হবে, আপনাদের মতন কিছু দুনিয়াবী আলেমদের কারনে আজ ইসলামের এবং প্রকৃত মুসলমানদের সমস্যার সম্মূখীন হতে হচ্ছে।

জবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কনিক স্বপ্নিল লিখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নারীদের নামাজের জন্য সংরক্ষিত স্থান রয়েছে। তবে নামাজ শেষে বক্তৃতা করার সময় নারী-পুরুষের আলাদা পর্দার ব্যবস্থা করা যেত তাহলে, বিষয়টি নিয়ে কন্টোভার্সি তৈরি হত না। ভিসি ম্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে গিয়েছেন ঠিক আছে যেতেই পারেন পিছনেও কিন্তু আরো নারীরা আছেন। দয়া করে এখানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার চাইবেন না।

এ বিষয়ে জবি কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম কাম খতিব মো: ছালাহ উদ্দিন বলেন, আমি সকাল থেকেই উপাচার্য জন্য মহিলাদের নামাজের স্থানে নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে বসার জায়গা করেছিলাম, কিন্তু প্রক্টর এসে বলেছেন ছোট জায়গায় উপাচার্য কেন বসবে? উপাচার্য মূল মসজিদেই বসবেন, আমি বাধ্য হয়েই সেটা মেনে নিয়েছি। মসজিদের ভিতর নারী পুরুষের একসাথে অবস্থান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এ বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল অদুদকে ফোন দেয়া হল তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান, এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।