লালমনিরহাট জেলায় বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত ৫ সাংবাদিককে তালাবদ্ধ করে রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে হেনস্তা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিবাদেই তারই বদলি হয়েছে। বদলি হওয়া কর্মকর্তা হলেন লালমনিরহাট সদর ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল নোমান। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে লালমনিরহাট সদর ভুমি অফিসের এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল নোমান কে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় এসিল্যান্ড হিসেবে বদল/পদায়ন করা হলো।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে ভুমি অফিসে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হোন মাই টিভির সাংবাদিক মাহফুজ সাজু ,পরে সেখানে আরও চারজন সাংবাদিক,কাউছার,এসকে শাহেদ, নিয়ন দুলাল,ফারুক সহ চারজন গেলে এসিল্যান্ড আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সবাইকে তালাবন্ধ করে রাখেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টি. এম এ মমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অফিস গেটের তালা খুলে সাংবাদিকদের মুক্ত করেন। তিনি ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলে চলে যান। এরপর সকল সংবাদকর্মী এক যোগাযোগে বের হওয়ায় সময়ে সবশেষে চ্যানেলআই এর ক্যামেরাম্যান আব্দুল মান্নান এবং তার সহযোগী রিজভিকে আটক করে মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চায়,কাগজ না পাওয়ায় পরে জরিমানা করেন। সাংবাদিক ওই খবর শুনে আবারও এসিল্যান্ড অফিসে আসলে সকলকে জেল জরিমানা করার হুমকি দেন ইউএনও।

এরপর সকল সাংবাদিক মিলে তৎক্ষনাৎ মিশনমোর এসে বুড়িমারী রংপুর মহাসড়কে বসে প্রতিবাদ জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করলে সবাই সেটি মেনে নেয়।এরপর একটি প্রজ্ঞাপন থেকে জানানো হয় তাকে রাতেই বদলি করা হয়েছে। এ বিষয়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে দ্রুত বিভাগীয় তদন্তকাজ শুরু করা হবে।