লালমনিরহাট থেকে ঢাকার পথে যুক্ত হল আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন। ট্রেনটির নাম রাখা হয়েছে বুড়িমারী এক্সপ্রেস। বুড়িমারী লালমনিরহাট জেলার সীমান্তবর্তী একটি প্রসিদ্ধ যায়গা। এর আগে লালমননি এক্সপ্রেস নামের একটি মাত্র ট্রেন চলাচল করতো।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরের পর জেলার তিনজন সংসদ সদস্য ও রেল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বুড়িমারী স্টেশনে উদ্বোধনের ট্রায়ালের কাজ সম্পন্ন হয়। ট্রেনটি আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মত যাত্রা শুরু করবে। জেলার আয়তন দীর্ঘ আকৃতির হওয়ায় লালমনিরহাট সদর স্টেশনে আসতে সময় লাগবে ২ ঘন্টার মতই। এরপর আধঘন্টা বিরতির পর সোজা ঢাকার কমলাপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে।

প্রায় এক যুগের ও বেশী সময় আগে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা ও তিন বিঘা করিডোর পরিদর্শনে এসে একটি আন্ত:নগর ট্রেন দেয়ার ঘোষনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির দীর্ঘ ১৩ বছর পর আজ সেটির বাস্তবায়ন দেখছে লালমনিরহাট জেলা বাসি। সকালে এবং রাতে দুই সময়ের জন্য আলাদা দুটি ট্রেন পাওয়ায় উচ্ছাসিত যাত্রী সাধারণ সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। এর আগে ৯ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন শাখার উপপরিচালক মো. শওকত জামিল মোহসী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশপত্রে ট্রেনটি উদ্বোধনের বিষয়টি জানানো হয়। এর পূর্বে একাধিকবার ট্রেন চালুর কথা থাকলে তা নানান কারনে পিছিয়েছে।

ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের আগেই জেলার আদিতমারী উপজেলায় মানববন্ধন করছে যাত্রা বিরতির দাবীতে। সেই সাথে রেলওয়ের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে আবেদন ও স্মারকলিপি দিয়েছে স্থানীয়রা। আবার ট্রেনটি প্রথম দিনের পর আর বুড়িমারী যাবে না কারন সেখানে ট্রেনটির ওয়াসফিট করার সুযোগ নাই। সে কারনে একটি শাটল ট্রেনে এসে লালমনিরহাট স্টেশন থেকে যাত্রা করতে হবে। সবকিছু মিলে জেলা মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।

বুড়িমারী রেল স্টেশনে ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে রেল মন্ত্রীর আসার কথা থাকলেও তিনি আসেনি,পরবর্তীতে লালমনিরহাট ০১ আসনের এমপি মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট ০২ আসনের এমপি নুরুজ্জামান আহমেদ এবং লালমনিরহাটে ০৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মতিয়ারর রহমান সহ রেল কর্মকর্তারা ট্রায়াল উদ্বোধন করেন।