কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা বাজারের দক্ষিণ পাশে সৌদি প্রবাসী হাজী রাজা মিয়ার মালিকানাধীন ২ কোটি টাকার মূল্যের জায়গা ও ভবন জবরদখল করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

২২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ফিল্মী কায়দায় এসে প্রবাসীর ছেলে ফাহাদ রাজা মিয়া (২৯) কে বেদড়ক মারধর ও জীবননাশের হুমকি প্রদান ও বের করে দিয়ে জোরপূর্বক ভবন ও মার্কেটটি জবরদখল করে নেয়। এ ঘটনায় বর্তমানে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহত ফাহাদ অভিযোগ করে জানান, আমার পিতা হাজী রাজা মিয়া ২৮ জানুয়ারি সৌদি আরবে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে এ সুযোগে আমাদের প্রতিপক্ষ মৃত দুলা মিয়ার পুত্র আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে মালামাল লুটপাট, ভাঙচুর সহ ২০ বছরের ভোগদখলীয় জায়গা, ভবন ও মার্কেট জবরদখলের ঘটনাটি সংঘটিত করেছে। বিষয়টি উখিয়া থানার পুলিশকে লিখিত অবহিত করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ ব্যাপারে ৫ মার্চ মৃত হাজী রাজা মিয়ার ছেলে ফাহাদ বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার সিআর মামলা নম্বর ১৩৪/২০২৪ ইং। এতে পূর্ব মরিচ্যা গ্রামের মৃত দুলা মিয়ার পুত্র আব্দুর রহিমকে প্রধান আসামী করা হয়। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে এনে সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দিয়েছে বলে আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে।

আদালতে দায়ের কৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভবনে ঢুকে ঘুমন্ত মালিক ফাহাদকে হত্যার হুমকি দিয়ে প্রচন্ড মারধর করে। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বের করে দিয়ে সেমি পাকা ভবনটি জবর দখল করে নেয়। ওই সময় পাসপোর্ট, সৌদি আরবের ভিসা, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ প্রায় তিন লক্ষ টাকার মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এলাকাবাসীরা জানান, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখা ধুরুমখালী গ্রামের মৃত ছৈয়দ আলম প্রকাশ শফর হাজির পুত্র হাজী রাজা মিয়া সহ ৫ ভাই দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক সৌদি আরবে বসবাস করছে। বলতে গেলে মৃত শফর হাজীর পুরো পরিবারের সদস্যরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, হাজী রাজা মিয়া বিগত ৩০/৬/২০০৩ ইং ও ৩/৮/২০০৪ ইং পৃথক দুটি কবলা রেজিস্ট্রি সম্পাদন করে ১৫ শতক জমি ক্রয় করেন। কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে জমি সংক্রান্ত মামলায় দুটি টি মামলার রায়ে হাজী রাজা মিয়া জমির বৈধতা প্রাপ্ত হন।

ছেলে ফাহাদ জানান, জমি ক্রয় করার পর আমার পিতা হাজী রাজা মিয়া সৌদি আরবে কষ্টের অর্জিত অর্থ দিয়ে উক্ত জমিতে চারিদিকে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ সহ দোকান গৃহ তৈরী এবং দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করে। বর্তমানে গভীর নলকূপ ও বিদ্যুৎ মিটার সহ ১০টি দোকানে ভাড়াটিয়া রয়েছে।

প্রবাসীর পরিবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট আকুল আবেদন জানিয়ে বলেছেন, জবরদখলকারী আব্দুর রহিমের কবলা হতে সেমি পাকা দোকান ও ভবনটি উদ্ধার করে দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করার সুযোগ দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করার সুযোগ দিয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।