স্ত্রীর দাবী নিয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জেট এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে তিনদিন ধরে অনশন করছেন অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রী।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারিতে) দুপুরের পর থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনেশ্যাম এলাকার এক পুলিশ সদস্য বাড়িতে অনশন করছেন ওই কলেজ ছাত্রী। পুলিশ সদস্যের নাম রাব্বি আল মামুন (ইশতিয়াক বুলবুল)।তিনি ডিএমপির রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এমটি শাখায় পিওএমএ পদে কর্মরত। পুলিশ সদস্য উপজেলার দক্ষিণ ঘনেশ্যাম এলাকার আল আমিনের ছেলে।

অনশনে বসা কলেজ ছাত্রী জানান, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটনের পল্টন থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে সরকারি বিধি ও শরিয়া মোতাবেক তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী হিসেবে একটি হোটেলে সপ্তাহ খানেক অবস্থান করে। পরে বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে বলে উভয় পরিবারের অভিভাবকের সাথে কথা বলে তাকে বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। এরপর দুই তিন মাস সুসম্পর্ক বজায় রাখলে ছয় মাস পরে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং নানান টালবাহানা শুরু করে। এক বছরের মাথায় স্ত্রী মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করে কাবিননামা সহ সকল তথ্য গায়েব করে ফেলে। এখন শুধু মাত্র আমার মোবাইল ফোনে কিছু ছবি ও অডিও রেকর্ড রয়েছে। আমি বাধ্য হয়ে স্ত্রীর মর্যদা পেতে তার বাড়িতে এসে অবস্থান করছি।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, স্ত্রীর মর্যাদা পেতে রংপুরের একটি মেয়ে রোববার থেকে পুলিশ কনস্টেবল রাব্বি আল মামুনের বাড়িতে আসলে বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তবুও ওই মেয়ে দরজার সামনে বসে অবস্থান করছে।ইউপি সদস্য রাকিবুর ইসলাম পলাশ জানান, মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য একজন গ্রাম্য পুলিশ পাহারায় রেখেছি। এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য রাব্বি আল মামুন ওরফে ইশতিয়াক বুলবুল জানান ওই মেয়ের সাথে ঢাকায় যা হয়েছে তার সমাধান হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে শাস্তিও দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বলেন, ঘটনাটি আমি বিভিন্ন ভাবে শুনেছি, কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।