শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত অবস্থায় শাহিনা বেগম নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের আগেই নিহত শাহিনার স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে গিয়েছিল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় স্বামী হেলাল গাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থানা পুলিশ হেলাল গাজীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এর আগে গতকাল (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কোদালপুর এলাকার গাজী কান্দি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে গৃহবধু শাহিনা বেগমকে (২২) হত্যা করে পালিয়েছিল স্বামী হেলাল গাজীসহ তার শুশুর বাড়ির লোকজন। পুলিশ শাহিনার মরদেহ উদ্ধার করার পর তার বাবা জান্নাল পাজাল মেয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ জনকে আসামী করে গোসাইরহাট থানায় মামলা করেন। এরপর গোসাইরহাট থানার (ওসি তদন্ত) মোঃ ওবায়েদুল হকসহ পুলিশের একটি দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানী ঢাকার পল্লবী থেকে অভিযুক্ত হেলাল গাজীকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া হেলাল গাজী পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে পারিবারিক কলহের জেরে তিনি তার স্ত্রী শাহিনাকে হত্যা করেছেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার হেলাল গাজীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শাহিনা হত্যা হওয়ার পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। শাহিনা হত্যার ঘটনায় তার বাবা মামলা দায়ের করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোসাইরহাট থানা পুলিশ ঢাকা থেকে হেলাল গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত হেলাল গাজীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।