বৃহস্পতিবার জেল থেকে মুক্তি পান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গত ২৮ অক্টোবরের বিএনপি পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় আটকের সাড়ে তিন মাস পর মুক্তি পান তারা।

তবে গুঞ্জন ওঠে বিএনপির সিনিয়র নেতারা কারাগারে থাকার সময় ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের গুঞ্জন ওঠে। সেখানে নানা প্রলোভনের খবর চাউর হয় রাজনীতিক মহলে। এদিকে কারাগার থেকে বের হয়েই বিএনপির সাবেক সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং নৌকার টিকিট নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।

কারাগার থেকে বের হয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর জানান, বিএনপিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কারাগারে আমার সঙ্গে রাজনৈতিক ইস্যুতে কারও কোনো বৈঠক হয়নি। কেউ সাক্ষাৎও করেননি।

তিনি আরো বলেন, সরকার যদি দমননীতি পরিহার না করে, দেশে উগ্রবাদীরা সুযোগ নেবে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।

উল্লেখ্য গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে দলটির মহাসমাবেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পণ্ড হয়ে যায়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় পরদিন ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। বিএনপির ভোট বর্জনের মধ্যেই ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ৩৮ দিন পর মুক্তি পান বিএনপি মহাসচিব।

আইএফ