টাঙ্গাইল ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নে শরিষাআটা গ্রামের মোঃ রাসেল আহমেদ কোন প্রকার ডাক্তারের সার্টিফিকেট ছাড়া হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার থেকে বিশেষজ্ঞ সার্জন।হোমিওপ্যাথিক ডাঃ নাম করে গ্রামের নিরীহ মানুষ কে দিয়ে যাচ্ছে জটিল রোগের চিকিৎসা। প্রতারিত হচ্ছে সহজ সরল গ্রামের মানুষ।

সরেজমিনে ভুক্তভোগি রোগিদের কথা বলে জানা যায় উপজেলা ধলাপাড়া শরিষাআটা গ্রামের ডিজি হেলথ থেকে লাইসেন্স,পরিবেশের ছাড়পত্র,ফাযার সার্ভিসের ছাড় পত্র, মাদক দ্রব্যনিয়ন্ত্রন থেকে অনুমোদন,ট্রেডলাইসেন্স,আয়কর,ভ্যাট,শ্রম মন্ত্রনালয় থেকে অনুমোদন,এসব কাগজ পত্র ছাড়াই, ক্লিনিক তৈরীর নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে রাস্তার পাশে মুজিব বাড়িতে গড়ে তুলেছে সেবা হোমিওপ্যাথিক ব্যবসার আড়ালে অ্যালোপ্যাাথিক ক্লিনিক।সহজ সরল মানুষ কে পলিপাস,পাইলসের মতো জটিল রোগের অপারেশন করে যাচ্ছে দেদারসে। হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।অপারেশন করতে কোন প্রকার নিরাপত্তা পোষাক পড়ানো হয় না রোগীকে।কোন প্রকার অভিজ্ঞ নার্স ছাড়াই মহিলা রোগীদের কাপড় খুলে পাইলসের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে।তার কাছে নেই কোন ইমপোর্ট লাইসেন্স নেই অথচ ভারত থেকে অনায়েসে নিয়ে নিষিদ্ধ ঔষধ।

ঝুনকাইল গ্রামের জামাল জানায় আমার স্ত্রী জাহানারা (৪০)বুকে ব্যথা নিয়ে রাসেলের শরানাপন্ন হলে তাকে ঘাটাইল টপটেন স্পেশালাইজ হাসপাতাল থেকে এক্সরে বুকে অনেক গুলো টিউমার হয়েছে এই বলে তাকে পরপর তিনটি ইনজেকশন শরীরে পুশ করে। এতে তার সমস্ত শরীর ফুলে যায়। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পুনরায় পরীক্ষ কওে দেখে গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা। জামাল হোসেন কে তার স্ত্রী অসুখ সম্পর্কে জিজ্ঞসা করা হলে জানান কিছু সাংবাদিকের মধ্যস্তায় আমার সাথে পনের হাজার টাকার বিনিময়ে সমঝোতা হয়েছে। ওকে কিছু বলিস না বলে জানায়।

ঐ গ্রামের গৃহবধু আমিনা বেগম শরীরে ব্যাথা নিয়ে তার শরানাপন্ন হলে তাকেও পর পর তিনটি ইনজেকশন শরীরে পুশ করে পয়ত্রিশ শত টাকা হাতিয়ে নেয়। ঘাটাইল পৌর এলাকার অধিবাসী আলেয়া শবনম জানান আমিও ঐ ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম আমাকেও যে কোন রোগের চিকিৎসা দেয় বলে জানান।এভাবেই ডাক্তার রাসেল আহমেদ দিনের পর দিন চিকিৎসার নাম করে সহজ সরল মানুষ কে অপচিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে আর হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

গত ১৬/০২/২০২৪ তারিখ শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগিরা প্রতারক ডাক্তারের উপর ক্ষিপ্ত হলে ভয়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকা ফেরত দেয়। এমনকি বিষয়টি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওযার জন্য বিভিন্ন ক্ষমতাসীন লোকের পরিচয় আছে বলে জানান। এ বিষয়ে ডাঃ পরিচয়ে প্রতারক রাসেল আহমেদ জানান আমি আপনার সাথে দেখে করে বিষয়টি জানাবো।পরে বিভিন্ন জায়গায় থেকে তদবীর করতে ফোন দেওয়ান।

ধলাপাড়া শরিষাআটা গ্রামে হোথিপ্যাথিক ব্যাবসার আড়ালে গড়ে উঠা অ্যালোপ্যাথিক ক্লিনিক সম্পর্কে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা(পঃপঃ) আবু নাইম সোহেলের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান এ রকম ক্লিনিক আছে আমার জানা নেই তবে ঠিকানা দেন তার বিরুদ্ধে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।