মৎস্য চাষকে সহজলভ্য ও লাভজনক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারকে এক প্রস্তাবনা পত্র প্রদান করেছেন সফল এক মৎস্যচাষী।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জেলা মৎস্য সম্মেলন শেষে হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. তাজমিনউর রহমান তুহিন এ প্রস্তাবনা পত্র তুলে দেন।

প্রস্তাবনা পত্রে মৎস্য চাষকে সহজলভ্য ও লাভজনক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাজমিনউর রহমান তুহিন উল্লেখ করেন, মৎস্য সম্পদের সম্প্রসারণ করতে হলে ঘের চাষীদেরকে ধান চাষের মতো মাছ চাষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। মৎস্য চাষীদের ব্যাংক ঋণ, মৎস্য খাদ্য ও মৎস্য চিকিৎসার ঔষধপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য খাদ্যের দাম কমানোর লক্ষে মৎস্য খাদ্যের উপর ভর্তুকি প্রদানসহ মৎস্য খাদ্য ও মৎস্য চিকিৎসার ঔষধ পত্রের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়।

একইসঙ্গে প্রস্তাবনা পত্রে তাজমিনউর রহমান তুহিন তার ঘেরের বিগত দিনের কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কাটিং, মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ, দেশে আমিষের জোগান বৃদ্ধিকরণ ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে জাতীয় অর্থনীতিতে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে বিবরণ তুলে ধরেন।

তাজমিনউর রহমান তুহিন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিদ্যাধর গ্রামের একজন শৌখিন মৎস্যচাষী। প্রায় ২২ একর জমির ওপর ছোট-বড় মিলিয়ে সাতটি মাছের ঘের রয়েছে তার। পড়াশুনা শেষ করে ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ব্যবসার পাশাপাশি অনেকটা শখের বসেই চার বছর আগে গড়ে তুলেন হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এন্ড ডেইরি ফার্ম। এখান থেকে তিনি ধারনারও অতীত লাভের মুখ দেখছেন। তার এই উদ্যোগ আমিষের ঘাটতি মেটাতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে পাশাপাশি কর্মসংস্থানের পথ তৈরি করেছে। মাছের ঘেরের পাশেই তিনি করছেন সব্জির আবাদ।

এছাড়া গরুর খামার ও বায়োগ্যাস প্লান্ট গড়ে তুলেছেন। সব মিলিয়ে একটি বহুমুখি কৃষি খামারে রুপ নিয়েছে তার শখের উদ্যোগ। গত অর্থবছরে এ থেকে তার প্রায় ১৯ লাখ টাকা আয় হয়েছে। তা থেকে সরকারি খাতে ৫৭ হাজার টাকার উৎস কর দিয়েছেন তিনি।

বার্তা বাজার/জে আই