জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলাই সালেহ মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ১৭ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একইসাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ৫ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৭ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোঃ আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
এ মামলার ২২ জন আসামির মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন ও দুইজন পলাতক রয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ১মোঃ হাদিউজ্জামান, ২মোঃ আরিফুল, ৩মোঃ আবু নাসের, ৪ডা: মোঃ শাজাহান আলী, ৫মোঃ আশরাফ আলী, ৬মোঃ আলী ওরফে লাল মোহাম্মদ, ৭মোহাম্মদ আলী,৮ মোঃ জহির, ৯মোঃ শামছুল আলম, ১০মোঃ সায়েম উদ্দিন, ১১মোঃ ওবাইদুল, ১২সইম, ১৩রহিম,১৪ মোঃ আবু সাঈদ, ১৫মোঃ আবু বক্কর, ১৬বানু বেগম ও১৭ শাহেরা বেগম৷
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- ১অমিছা বেগম, ২মোঃ শহিদুল ইসলাম , ৩মোছাঃ বেলছি বেগম, ৪হাফেজা ফকির, ৫মোঃ সাবদুল ফকির।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধের জেরে ২০০৯ সালের ০২রা মে সকাল ৮ টার দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর চকপাড়া গ্রামের সালেহ মোহাম্মদ তার নিজ শ্যালো মেশিন ঘর ভেঙ্গে টিন নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আসামি মোহাম্মদ আলীর বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছিলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আসামিগণ সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রে-সন্ত্রে সজ্জিত হয়ে সালেহ মোহাম্মদের পথ রোধ করে আমগাছের সাথে হাত-পা বেঁধে ধারালো সস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করলে প্রচন্ড যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে আসামিদের নিকট পান করার জন্য পানি চাইলে শুকনা মরিচ মিশানো পানি জোর পূর্বক পান করালে সালেহ মোহাম্মদ আরও করুন আর্তনাত ও চিৎকার করে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী চেয়ারম্যান ও থানায় অবগত করে সালেহ মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয় ।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ আজিজুল হক বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বার্তা বাজার/জে আই