ঢাকার জেলার কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতির কক্ষে দেশীয় অস্ত্র রেখে ফাঁসানোর ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় করা সাধারণ ডায়েরিটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে জানান জিডির বাদী ও প্রেসক্লাবের অফিস সহকারী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাজ্জাদ হোসেনের বাবা মোহাম্মদ রুবেল শেখ।

সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দরিদ্রতায় লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারছিলাম না। এমতাবস্থায় মোস্তফা কামাল স্যার আমাকে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে পার্ট টাইম কাজের ব্যবস্থা করে দেন। উক্ত বেতনের টাকায় এখন লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারি। সেই কৃতজ্ঞতায় আমি মোস্তফা স্যারকে সম্মান করি। হঠাৎ একদিন রায়হান স্যার, মোস্তফা স্যারকে মারার জন্য ক্লাবে আটিটি স্ট্যাম্প নিয়ে আসে। এবিষয়ে মোস্তফা স্যারের শ্যালক কায়েস ভাইকে জানাই এবং স্ট্যাম্পের একটি ছবি কায়েস ভাইকে দিয়ে দেই।

ছবির বিষয় ক্লাবে জানাজানি হয়ে গেলে, সাংবাদিক রায়হান স্যার, ইউসুফ স্যার, টিটু স্যার ও আশিক স্যার, ইমন ও ছোট লিটনসহ আরো অনেকেই ছিল। এই সময়ে তারা বলে ক্লাবের আলমারিতে ২ লক্ষ টাকা ছিল। সেই টাকা চুরির দায়ে আমাকে ছয় বছর জেল দিবে এবং আমাকে আরো ভয়ভীতি হুমকি দেয়। তারা আরো বলে তাদের কথামতো আমি যদি কাজ না করি, থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আমাকে ধরিয়ে দেবে। মোস্তফা স্যার ও কায়েস ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানটে কথা বলতে হবে। তাদের কথা মতো আমি ভয়ে তাই করতে বাধ্য হই। আমাকে থানায় নিয়ে তাদের কথামত অভিযোগ দিতে বাধ্য করে। আমি ভয়ে অন্যায় করেছি, তাই আপনাদের কাছে আমার আকুতি পেশ করছি। এ সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে আপনাদের সামনে সত্য কথা বলায় আমার এবং আমার পরিবারের কোন ক্ষতি না হয় সেই আশা করি।

এসময় সাজ্জাদের বাবা মোহাম্মদ রুবেল শেখ জানান, আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে ভয় দেখিয়ে সাংবাকিদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা জিডি করতে বাধ্য করা হয়। আমার ছেলের সাথে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই তিনি গণমাধ্যের কাছে সত্যটা তোলে ধরেছেন। এখন ছেলেকে নিয়ে ভয়ে আছি। যদি কেউ কোন ক্ষতি করে। এজন্য আপনাদের সবার সহযোগীতা চাই।

বার্তা বাজার/জে আই