বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এমপি বলেন, শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের রক্ত দিয়ে কারো ক্ষমতা যাওয়ার সিঁড়ি তৈরি বাংলাদেশের জনগণ করতে দিবে না, এটাই হলো বাস্তবতা। বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার ইতিহাস বিশ্বের কোথাও নাই, যা সৃষ্টি করেছে বিএনপি জামাত। বিএনপি জামাত অপরাজনীতি করে ক্ষমতায় যেতে চায় কিন্ত জনগন তা প্রত্যাখ্যান করে পঞ্চমবারের মত শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৬ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

শাজহান খান আরও বলেন, সর্বক্ষণ বাংলাদেশ এবং মানুষের কিভাবে উন্নয়ণ দিকে নিবেন এটা নিয়ে সব সময় ভাবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখেন তা কিন্তু না তিনি আমাদের স্বপ্নও দেখান। তিনি স্বপ্ন দেখান বলেই পঞ্চম বারের মত আমরা তাকে প্রধানমন্ত্রী করেছি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শাজাহান খান বলেন, তোমাদের মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে তোমাদের কে স্মার্ট হতে হবে। এবং আমি বিশ্বাস করি এই মনোবাসনা তোমাদের আছে।

তিনি আরও বলেন, সাধনা ছাড়া কোন ব্যক্তি জীবনে দাঁড়াতে পারে না। সাধনা করবে তাহলে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সাধনা ছিল বাংলাদেশে একটি স্বাধীন রাষ্ঠ্রে পরিনত করবে আরও তার সাধনার কারনে আজ আমরা একটা বাংলাদেশ পেয়েছি, স্বাধীণ রাষ্ঠ্র পেয়েছি।

শাজাহান খান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় তোমরা নিয়োজিত থাকো তাহলে মাদক, জঙ্গী নানা অপকর্মের হাত থেকে রক্ষা পাবে। তোমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে ধারণ করো তাহলে এই বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের মধ্যে এক বিষ্ময় সৃষ্টি হবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ সচিব) ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমদ খান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুল্লাহ খান, জেলা ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিত্র, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অন্যরা।

বার্তাবাজার/এম আই