আগামী ১০০ কর্মদিবসে কী অগ্রাধিকার দেয়া হবে তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রায় এক হাজার অবৈধ ইটভাটা রয়েছে । এর মধ্যে আগামী তিন মাস ৫০০ অবৈধ ইটভাটা ভেঙে ফেলা হবে। তবে উন্নয়ন কাজ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য একসঙ্গে ভাঙ্গা হবে না।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ এ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ সুরক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং এ মন্ত্রণালয়ের বর্ণিত চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণকল্পে ১০০ কর্মদিবসের কর্মপরিকল্পনা স্থির করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পাহাড় কর্তন ও জলাধার ভরাট রোধসহ পরিবেশ সুশাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ কর্মপরিকল্পনা জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি দ্রুত সাড়া প্রদানে মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সদিচ্ছা এবং অঙ্গীকারের প্রতিফলন হবে।

এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার জনবল কাঠামো হালনাগাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষিজমি রক্ষার্থে সরকারি নির্মাণে ১০০ ভাগ ব্লক ব্যবহারে সংশোধিত রোডম্যাপ অনুমোদন দেয়া হবে এবং বায়ুদূষণের প্রতিটি উৎস থেকে সৃষ্ট দূষণ মোকাবেলায় ন্যূনতম একটি করে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এসইউপির উৎপাদন ও ব্যবহার কমিয়ে আনতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি পণ্য প্রস্তুতকারক ও আমদানিকারকদের পণ্য থেকে সৃষ্ট বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বর্ধিত প্রযোজক জবাবদিহিতার (ইপিআর) খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়াও শিল্প কারখানার ইটিপি কার্যকরভাবে চালু রাখতে স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।

বার্তা বাজার/জে আই