কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শীতের তিব্রতার সাথে সাথে শুষ্ক মৌশুমেও পদ্মায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ২ সপ্তাহ ধরে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকা, হাটখোলা ও কোলদিয়াড় গ্রামের বেশ কিছু আবাদি জমি ভাঙনের কবলে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

এদিকে শুষ্ক মৌশুমের এই ভাঙনে হুমকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রায়টা-মহিষকুন্ডি নদীরক্ষা বাঁধ, ভারত থেকে আসা বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনসহ সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। তবে দ্রুত সমস্যা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ও কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নদীতে বন্যার পানি বিগত বছরের মতো বৃদ্ধি না পেলেও নদী থেকে পানি নেমে যাওয়ার অনেক পরে নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এবিষয়ে মরিচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই নদী ভাঙনের ফলে কৃষকের হাজার হাজার বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমি সংসদ সদস্যের কাছে অনুরোধ করব তিনি যাতে তড়িৎ গতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে এখানে একটি স্থায়ী নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করার ব্যবস্থা করেন।

এবিষয়ে ভুরকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুজ্জামান বলেন, ভুরকা-হাটখোলা থেকে কোলদিয়াড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীভাঙন তিব্র আকার ধারন করেছে। প্রতিদিনই নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ৪ ফসলি জমি ও বাগান। ৪ ফসলি জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

এলাকাবাসীরা জানান, নদী ভাঙনের তীব্রতার কারনে বাধেঁর সন্নিকটে ভাঙন শুরু হয়েছে। যদি এই বাধঁটি ভেঙে যায় তাহলে এই এলাকাটি বিলীন হয়ে যাবে। অপরিকল্পিত বালি উত্তোলনের ফলে নদীর দিক পরিবর্তন হয়েছে যার কারনে শুষ্ক মৌশুমেও নদী ভাঙনের তিব্রতা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, সারা বাংলাদেশ এধরনের ভাঙন দেখবেন না যেটা দৌলতপুরের এই অংশে দেখা দিয়েছে। এটা রেগুলার ভাঙন। নতুন সরকার গঠন হয়েছে এখন সংশ্লিষ্ট আসনের সাংসদ সদস্যের একটি ডিও লেটার পেলে আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে স্থায়ী বাধ নির্মাণের প্রস্তাবনা দিবো।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাথে কথা বলেছি জানিয়ে কুষ্টিয়া ১ (দৌলতপুর আসনের) নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, নদী ভাঙন রোধে যততাড়াতাড়ী সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।