বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে সরাসরি চুক্তিতে পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসকে দলে ভিড়িয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পাকিস্তান টিমে না থাকায় বেশ আগেভাগেই বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন। চট্টলার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অনুশীলন শিবিরেও ছিলেন। কিন্তু বিপিএলে খেলা হচ্ছে না পাক এই ব্যাটারের।

বিপিএলে খেলার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এনওসি বা অনাত্তিপত্র পাননি হারিস। যে কারণে কোনো ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরে যেতে হচ্ছে তাকে। এবারের বিপিএলে হারিসসহ আরও বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে খেলার অনুমতি দেয়নি পিসিবি।

এই তালিকায় আছেন ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইনরা। ফরচুন বরিশালের হয়ে বিপিএলে খেলার কথা ছিল ফখরের। আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঙ্গে চুক্তি হয় ইফতিখার ও নাসিম শাহের। এ ছাড়া হাসনাইন ছিলেন হারিসের সঙ্গে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে। তাদের সঙ্গে অনাপত্তিপত্র পাননি দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে চুক্তি করা সাইম আইয়ুবও।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম বলছে, আসন্ন পাকিস্তান সুপার লিগ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাথায় রেখে তাদের অনাপত্তি দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বছরে তিনটির বেশি লিগ খেলার অনুমতি নেই পাক ক্রিকেটারদের। হারিস পিএসএলের বাইরে দুটি বিদেশি লিগ খেলে ফেলেছেন ইতোমধ্যে।

বিপিএলের সঙ্গে একই দিনে পর্দা উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগের (আইএল টি-টোয়েন্টি) দ্বিতীয় আসরের। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট দুটিতে অংশ নিতে চার তারকা ক্রিকেটারকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয় পিসিবি। অনাপত্তিপত্র পাওয়া পাকিস্তানের চার ক্রিকেটার হচ্ছেন— বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। তাদের মধ্যে কেবল পেসার শাহিন আফ্রিদি খেলবেন আমিরাতের টুর্নামেন্টটিতে। বাকি তিন ক্রিকেটার শিগগিরই বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে পা রাখবেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান।

অবশ্য গুঞ্জন ছিল, বিপিএলে খেলার জন্য শেষ পর্যন্ত অনুমতি পেতে পারেন ক্রিকেটাররা। যেখানে এনওসির অপেক্ষায় এতদিন বাংলাদেশেই থেকে গেছেন হারিস। তবে চট্টগ্রামের দুই ম্যাচ অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে হারিসকে।

জানা গেছে, বিপিএল খেলার অনুমতি না পাওয়ায় আজই পাকিস্তানের বিমান ধরেছেন তিনি। দুবাইয়ে ট্রানজিট শেষে পাকিস্তানে পৌঁছাবেন এই ব্যাটার।

বার্তা বাজার/জে আই