ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। সেখানে খাবার-পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে কোনো ধরনের ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। জাতিসংঘের মানবাধিকার সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ উত্তর গাজায় ওষুধ এবং জ্বালানি সরবরাহ করতে দিচ্ছে না।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৩২ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সংস্থা গাজায় দ্রুত এবং নিরাপদভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার অনুমতি পাওয়ার আবেদন জানিয়েছে। গাজার মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ এবং নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে দিন কাটাচ্ছে।

গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৪ হাজা ১০০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৬০ হাজার ৮০০ জন। প্রায় প্রতিদিনই শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

উত্তর গাজায় চিকিৎসাসেবাও সীমিত হয়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় একের পর এক হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো হাসপাতালই এখন আরও পরিপূর্ণ সেবা দেওয়ার অবস্থায় নেই বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার এমন কোনো স্থান এখন বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী তাণ্ডব চালায়নি।

গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান না হলে মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটির পলিটব্যুরো সদস্য ওসামা হামদান লেবাননের রাজধানী বৈরুতে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।

বার্তা বাজার/জে আই