টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গোড়াই নাজিরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা মির্জাপুর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসেন। তাকে মন্টুর বাসায় নিয়ে আসতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈরে অবস্থিত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এলাকায় মন্টুর লোকজন একটি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে যাওয়ার সময় গোড়াই নাজিরপাড়া এলাকায় দুই পক্ষের সাথে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে এবং এর জেরে প্রকাশ্য দিবোলোকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাতের মাধ্যমে মারপিটের ঘটনা ঘটে এবং কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। এসময় ওই এলাকায় একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

এ ঘটনায় আহত গোড়াই ইউনিয়ন (পূর্ব) যুবলীগের সভাপতি সোহেল ভূইয়া বলেন, এমপি রানাকে মন্টু চাচার বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিয়ে ফিরে আসার পথে সোহেল খান আমার গাড়ির গতিরোধ করে হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে অতর্কিতভাবে মুখে আঘাত করে। সেসময় তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আরো কয়েকজনকে মারপিট করে। আমি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমার ঠোটে ৯টি সেলাই করতে হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের পক্ষে শেহের আলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

গোড়াই ইউনিয়ন (পূর্ব) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাফিন খান উৎস বলেন, এমপি আমানুর রহমান খান রানা চাচাকে রিসিভ করতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল বহরের উদয় নামের একজন আমার গাড়িতে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করে। আবার এমপি রানাকে নিয়ে যাওয়ার সময় গোড়াই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সোহেল ভূইয়ার নেতৃত্বে আমাদের বাসার সামনে অবস্থান করে একটি উশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও উস্কানিমূলক আচরণ করে। আমার পরিবারের লোকজনকে উদ্দেশ্য করে হুমকিমূলক কথাবার্তাও বলে। যারপ্রেক্ষিতে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় আমি মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, নব্য আ.লীগারদের সহযোগিতায়ই যুবদল ও শ্রমিকদলের নেতারা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে,যা নেক্কারজনক ঘটনা। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তারা যেমন অত্যাচার নির্যাতন, জুলুম করেছে এখন আবার তেমনই শুরু করেছে। আমাদের এমপিকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানাই।

দেওহাটা ফাঁড়ির ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ঘটনার সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।

বার্তাবাজার/এম আই