শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে যমুনা নদী শুকিয়ে অসংখ্য চর পড়ায় সেখানে নৌকার পরিবর্তে গরুর গাড়ি চলাচল করে।

এতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি -সোনাতলার উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা অথবা জেলা শহরের সঙ্গে চরাঞ্চলের মানুষদের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদী প্রশস্ততা ছিল কমপক্ষে আট কিলোমিটার। পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীর দুই ধারে বিস্তীর্ণ এলাকায় চর জেগে ওঠায় খাটিয়ামাড়ি চরের কাছে এখন যমুনা নদী প্রশস্ত নেই বললেই চলে।

বিস্তীর্ণ চর হওয়ার মরিচের চাষ বেড়েছে এখানে। চোখ যত দূর যাবে ততোদূর শুধু মরিচ আর মরিচ। বগুড়াকে বলা হয় ঝাল মরিচের রাজধানী। এই ঝাল মরিচের আবাদ হয় এসব চরে।

এসব মরিচ ক্ষেতে কৃষকরা সময়মত পরিচর্যা করেন। প্রান্তিক কৃষক এসব জমিতে টাকার বিনিময়ে কাজ করে থাকেন। তাদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, অন্যর জমিতে শ্রম দিয়ে জীবন চলে। দিনে যা টাকা পান সংসারের জন্য যথেষ্ট নয়।

এদিকে মির্জাপুর চরে বসবাস করেন স্বামী আর স্ত্রী। নদী বার বার ভেঙে দিলেও এখানেই থেকে কাজ করে জীবন চালাচ্ছেন কর্মজীবী স্বামী স্ত্রী। যমুনা চরের মানুষ পায়ে হেঁটে শহরে আসতে পরলেও তাদের জীবন সংগ্রাম চলে খুবই নিম্নমানের। তাদের জন্য সঠিক কর্মসংস্থান আর যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে পারলে অনেকটাই উপকৃত হবেন বলে জানান চরে প্রান্তিক মানুষ।

বার্তাবাজার/এম আই