কুমিল্লার ১১টি আসনের মধ্যে ৬টির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের পরিবারের ১১ জন জনপ্রতিনিধি আছেন স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পদে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁরা পরিবারের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের জেতাতে নির্বাচনী এলাকায় বেশ তৎপর ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. আবদুল মজিদ। তাঁর স্ত্রী রেহানা বেগম হোমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর ছেলে আহসানুল আলম মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। জাহাঙ্গীর আলমের ভাইয়ের ছেলে রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইকবাল সরকার ও ভাগনে যাত্রাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।

কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদের বাবা বরকামতা ইউপির চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম। কুমিল্লা-৯ (লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম। তাঁর শ্যালক মহব্বত আলী লাকসাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, ভাইয়ের ছেলে আমিরুল ইসলাম মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং মামাতো ভাই আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য।

কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ হ ম মুস্তফা কামাল। তাঁর ছোট ভাই গোলাম সারওয়ার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। বড় ভাইয়ের ছেলে লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান। কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক। তাঁর ভাতিজা এ বি এম এ বাহার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার দেবীদ্বারের প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার বলেন, উপমহাদেশে বহু আগে থেকেই উত্তরাধিকার রাজনীতি চলছে। একটানা ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যেরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পদে জনপ্রতিনিধি করেছেন। এতে সংসদ সদস্যেরা নির্ভার থাকেন। আগামীতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বার্তাবাজার/এম আই